অনলাইন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে ড. ইউনূস, খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৯:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৩ অপরাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নে ‘বৈষম্যবিরোধী, বেগম খালেদা জিয়া, আবু সাঈদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ সম্পর্কিত প্রসঙ্গ ছিলো। আরও প্রশ্ন এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে চালু হওয়া বিশ্বব্যাপী ‘তিন শূন্য’ (থ্রি জিরো) আন্দোলন নিয়ে। এছাড়া গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিবাদের শাসন পতনের একটি বর্ণনা নিয়েও লিখিত অংশে একটি ইংরেজি অনুচ্ছেদ অনুবাদ করতে বলা হয়েছে। এদিন দেশব্যাপী ৮টি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা চলে।
ভর্তি পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) বাংলা অংশে এসেছে, ‘বৈষম্যবিরোধী শব্দটি কোন সমাসে নিষ্পন্ন’, সাধারণ জ্ঞান অংশে এসেছে, ‘ঢাকা শহরের প্রথম ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন কে? উত্তর হিসেবে চারটি নাম ছিল, ‘জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া ও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ’। আরেকটি প্রশ্ন ছিল ‘তিন শূন্য তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি? উত্তর হিসেবে চারটি বিকল্প রাখা হয়, ‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শূন্য ক্ষুধা’।
আরেকটি প্রশ্নে এসেছে, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে অঙ্কিত শিল্পকর্মের নাম কী?’ উত্তর হিসেবে চারটি নাম ছিল, ‘উন্নত মম শির, অকুতোভয়, বিদ্রোহী, নাকি দুরন্ত’। উল্লেখ্য, আবু সাঈদের স্মরণে নির্মিত শিল্পকর্মটি হলো, ‘উন্নত মম শির’, চিত্রকলা অঙ্কন করেছেন শিল্পী শহীদ কবির। সাধারণ জ্ঞান অংশে আরেকটি প্রশ্ন এসেছে,‘বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে?’ আরও ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন নারী রয়েছেন, ২৫তম প্রধান বিচারপতি কে? মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনী কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছে?’ কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মুসলিম।
লিখিত অংশে একটি ইংরেজি অনুচ্ছেদ বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়। অনুচ্ছেদটি গত ৫ই আগস্ট তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বর্ণনা নিয়ে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনা হয়েছে। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা রেখে নাতি-নাতনিদের কোটা বাদ দেয়া হয়েছে। ৮টি বিভাগীয় শহরের পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন এবং প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
পাঠকের মতামত
গত দেড় দশকের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহ ০৫ আগষ্ট অর্জিত বিজয় সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের জানা উচিত।
এই তেলবাজির জন্য আমরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি।
শিক্ষা ব্যবস্থার রাজনীতিকরন....। বন্ধ হওয়া উচিত।
এসব লেজুড়বৃত্তির কারণেই দেশের শিক্ষা্যব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে ।