অনলাইন
মাহফুজ আলম
ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে জনগণ কখনই বৈষম্য-নিপীড়ন মুক্ত হবে না
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ২:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে জনগণ কখনই বৈষম্য ও নিপীড়ন মুক্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শনিবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কবজা করে মানুষের ওপর গণহত্যা, নির্বিচার, নিপীড়ন, লুটপাট, খুন গুম ও ধর্ষণ করেছে সেই সকল প্রতিষ্ঠান নূন্যতম সংস্কার ব্যতীত যদি আমরা নির্বাচন করি, তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাবে। আর এই কারণে জনগণ কখনই বৈষম্য ও নিপীড়ন মুক্ত হবে না।’
সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দল ও সকল অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নূন্যতম সংস্কার করে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার পটপরিবর্তনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা তার সরকারের অঙ্গীকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতার শাহদতের বিনিময়ে আমরা সরকার গঠন করেছি। খুনিদের বিচার এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং একটি গণতান্ত্রিক পটপরিবর্তনের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা আমাদের সরকারের অঙ্গীকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশের জনগণ গত ১৬ বছরের কাছাকাছি সময় হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিস্ট আমলে নিপীড়িত হয়েছে, বাচ্চাদের গুম করা হয়েছে, মা-বোনদের ধর্ষণ করা হয়েছে, ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, নারী সংগঠন ও আলেম-ওলামা সবাই মিলে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করেছি।’
পাঠকের মতামত
সংস্কারের পর নির্বাচন, কোন কথা হবে না।
এখানে যারা জনাব মাহফুজ আলমকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে মন্তব্য করছে, তারা হাসিনার দোসর।
সরকারী টাকায়............. কত কিছুই না বলা যায়!
মন্ত্রণালয় ছেড়ে রাজপথে কেন ? রাজপথে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে ? নিরপেক্ষ উপদেস্টা !!
স্কুলের ছাত্রদের যদি সেই স্কুলের পড়াশোনার সংস্কার করতে দেওয়া হয় তবে তারা তাদের নিজেদের সুবিধামতন সংস্কারই করবে যাতে তাদের বেশী পড়াশোনা না করা লাগে, ক্লাস বেশী না করা লাগে, চাপ বেশী যাতে না থাকে, পরীক্ষা পদ্ধতি যেন সহজ হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে তাদের নিজেদের চিন্তা না করে জনগণের চিন্তা করে সংস্কার করবে এটা পাবনার পাগলরাও বিশ্বাস করবে কিনা সন্দেহ,আমজনতার কথা তো বাদই দিলাম। ভাল ভাল এবং বেশীরভাগ সংস্কার এখনই করতে হবে, এর কোন ব্যাত্তয় হওয়া বা করা যাবে না।
এই বিপ্লবী সরকারকে কমপক্ষে ১০ বছর খমতায় থাকতে হবে।
সংস্কার একটি অনন্ত প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন হওয়াটাই যৌক্তিক। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। নতুন দল গঠনের অধিকার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে তবে সেই দল গঠন প্রক্রিয়ার কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হলে সেটি জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল হবে।
সংস্কারের আগে কোন নির্বাচন নয়।
অবশ্যই নূন্যতম সংস্কার এবং নির্বাচনের ব্যবস্থা একসাথে চলতে পারে। নিরপেক্ষ নির্বাচন সংস্কারের প্রধান ও মৌলিক উপাদান। আরেকটি বিষয়, সরকারের একজন দায়িত্বশীল উপদেষ্টা হিসেবে পথসভা কাম্য নয়।
অতি শীগ্রই দেখবেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নিয়ে জামাত ইসলাম নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে জামাত ইসলামী বি টিম