খেলা
পারিশ্রমিক ইস্যুতে ধৈর্য হারাচ্ছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার
এবারের বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেয়া-না দেয়া নিয়ে নাটক যেন থামছেই না। অনেক জলঘোলার পর ক্রিকেটাররা ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক হাতে পান। এরপর গতকালকের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল আরও ২৫ শতাংশ। কিন্তু সেটা হাতে পাননি তারা। এরমধ্যে দলটির শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার লাহিরু সামারাকুন বিসিবি’র কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে চিঠিও দিয়েছেন। শুধু লাহিরু নন, বাকি বিদেশি ক্রিকেটাররাও পারিশ্রমিক নিয়ে রাজশাহীর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে বিরক্ত। এই ইস্যুতে তারা ধৈর্য হারাচ্ছেন। চট্টগ্রাম পর্বে প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর মাঠে নামা নিয়েই শঙ্কা ছিল। পারিশ্রমিক না পাওয়ায় একদিন আগেই তারা বয়কট করে অনুশীলন। পরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় পরের দিন অনুশীলন করে দলটি। ওইদিন অর্থাৎ ১৬ই জানুয়ারি রাতে সব খেলোয়াড়কে পারিশ্রমিকের আরও ২৫ শতাংশ ক্যাশ ও আরও ২৫ শতাংশ চেকের মাধ্যমে দেয় রাজশাহীর মালিকপক্ষ। তখন তারা ক্রিকেটারদের জানায়, ২১শে জানুয়ারির মধ্যে চেক থেকে নগদ অর্থ পেয়ে যাবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু গতকাল সেই অর্থ উত্তোলন করতে পারেননি কোনো বিদেশি ক্রিকেটার। বিষয়টি নিয়ে বেশ ধৈর্যহারা হয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। রাজশাহীর এক বিদেশি ক্রিকেটারের এজেন্ট পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৈনিক মানবজমিনকে। বিপিএলের আসর শুরুর আগে খেলোয়াড় ড্রাফট থেকে রায়ান বার্ল, মোহাম্মদ হ্যারিস ও লাহিরু সামারাকুনকে দলে ভেড়ায় রাজশাহী। এরপর সরাসরি চুক্তিতে রায়ান বার্লকে দলে ভেড়ায় তারা। আর টুর্নামেন্টের মাঝপথে মার্ক দেয়াল, আফতাব আলম ও মিগুয়েল কামিন্স দলে যোগ দেন। পরে যোগ দেয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে বিস্তারিত না জানা গেলেও আগে থেকে দলে থাকা বিদেশি ক্রিকেটাররা রীতিমতো ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন। কারণ, বার্ল, হ্যারিস ও সামারাকুনরা টুর্নামেন্টে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকের পর আর কোনো অর্থ পাননি। তাদের চুক্তির শর্ত অনুযায়ী টুর্নামেন্ট চলাকালে আরও ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা তাদের। বারবার চেক দেয়ার পরও সেখান থেকে কোনো অর্থই পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। এমনকি পারিশ্রমিকের পাশাপাশি বিদেশি ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতাও বাকি রেখেছে দলটি। এর আগে রাজশাহীর কোচিংয়ের বিদেশি স্টাফরাও পারিশ্রমিক না পেয়ে চিঠি লেখে বিসিবি’র কাছে। তখন সেই চিঠির পর তড়িঘড়ি করে তাদের হাতে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক তুলে দেয়া হয়। তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মালিকপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ চলতেই আছে।