অনলাইন
সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে: কৃষি সচিব
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৬:৩৪ অপরাহ্ন

দেশ থেকে সারের সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে উল্লেখ করে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সারের মজুদাগার নির্মাণ করা ছাড়াও সম্ভাব্য বিকল্প স্থানে মজুদাগার তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ ঘোষনা করা বা পরিত্যাক্ত পাট কারখানাগুলোতে সারের মজুদাগার করা হবে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার থেকে স্বল্প দামে সার কিনে আনা সম্ভব হবে। এতে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। সোমবার রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিন বিজ্ঞানি ড. আবেদ চৌধুরি। বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআইবির প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকত।
কৃষি সচিব বলেন, সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে মজুদাগার নির্মানের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে সামনের দিনে কৃষি খাতের প্রকল্প খাতে এক টাকাও বাড়াতে চাই না। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করা এবং প্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে ভারসাম্য আনা হবে। এখন দেশে সার নাই-এই কথা কেউ বলতে পারবে না। দামের কিছুটা তারতম্য হচ্ছে, সেটিও ঠিক করা হবে। কৃষকের স্বার্থ সর্বোচ্চ সুরক্ষা করা হবে।
অপ্রয়োজনীয় ধানের জাত উদ্ভাবন থামানো হচ্ছে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, বীজ উদ্ভাবনের চেয়ে মাঠে যেসব জনপ্রিয় বীজ রয়েছে, সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেসব বীজ কৃষকের লাভ দিচ্ছে, সেগুলো কৃষকের কাছে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেসব জাত মাঠে কাজ করে না শুধু শুধু জাতের সংখ্যা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই।