খেলা
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ ক্রিকেটারদের
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার![mzamin](uploads/news/main/144744_ma.webp)
‘১১০ রানের উইকেটে প্র্যাক্টিস করে খেলতে হবে ২০০ রানের উইকেটে’- অনুশীলনে সতীর্থ পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর একটি ডেলিভারি খেলে এমন কথা বলে ওঠেন দুর্দান্ত রাজশাহী অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। বিজয়ের এই মন্তব্য বুঝিয়ে দেয় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের অনুশীলন উইকেট নিয়ে কতটা অসন্তুষ্ট তিনি। এবারই প্রথম নয়, বিপিএলের প্রতি আসরেই এই স্টেডিয়ামে অনুশীলন করা দলগুলোর উইকেট নিয়ে থাকে অসন্তোষ। আর সেটা বজায় আছে এবারও।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে দলগুলো দুই মাঠে অনুশীলন করছে। সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। সাগরিকায় ম্যাচ হওয়ায়, ম্যাচের দিন অনুশীলনের সুযোগ নেই কোনো দলের। ম্যাচ না থাকলেও সব দল সুযোগ পায় না। একদিনে সর্বোচ্চ দুটো দল অনুশীলন করতে পারে।
সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ব্যবস্থা করে বিসিবি। শুরুতে কোনো দলই এখানে অনুশীলন করতে আগ্রহী ছিল না। কিন্তু পরে বাধ্য হয়ে অনুশীলন করতে হচ্ছে তাদের। তবে এই মাঠের উইকেট নিয়ে সবাই অসন্তষ্ট!
সাগরিকায় অনুশীলন করার ফাঁকে খুলনা টাইগার্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘ম্যাচ উইকেট আর অনুশীলন উইকেটের মধ্যে এত পার্থক্য হলে সেটা পারফর্মেন্সে প্রভাব ফেলে। জানি না, আয়োজকরা এগুলো মাথায় রাখেন কিনা। এমএ আজিজে অনুশীলন করতে হবে এটা তো আগেই জানতেন তারা। তাহলে আগে থেকে ম্যাচের উইকেটের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে উইকেট বানানো গেলো না কেন এটা ভাববার বিষয়।’
আরেকটি দলের এক ব্যাটার বলেন, ‘আসলে এগুলো নিয়ে তো সবাই অখুশি! কিন্তু কী আর করার! তবে এই উইকেটে (এমএ আজিজ) অনুশীলন করে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কারণ ম্যাচে পাবো ব্যাটিং সহায়ক উইকেট অথচ এখানে নেটে স্পিন খেলতে কষ্ট হয়। আর সেটার প্রভাব পড়বে ম্যাচে।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ঠিক পাশেই চট্টগ্রাম নারী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও আঞ্চলিক বিকেএসপি। তবে এই দুই মাঠের উইকেটও অনুশীলনের জন্য একদমই অপ্রস্তুত। সে কারণেই মূলত এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে রাখা হয় অনুশীলন। আর ক্রিকেটাররা না চাইলেও বাধ্য হয়ে সেখানে অনুশীলন করে।
এম এ আজিজের উইকেট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও কেন ওই মাঠের উইকেট ঠিক করা হয় না? এই প্রশ্নের জবাবে বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ওই মাঠ আমাদের অধীনে না। সেখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়। ফলে ওই মাঠের উইকেট এই অল্প সময়ে ঠিক করা সম্ভব হয় না। জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই ওখানে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়।’
এমএ আজিজের উইকেট নিয়ে ক্রিকেটারদের অসন্তোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, তারা খুশি নয়। কিন্তু আমাদেরও খুব বেশি কিছু করার থাকে না এসব ক্ষেত্রে। আমাদের আয়ত্তের ভিতর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয় তাদের অনুশীলনের জন্য যেন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকে।’
এর আগের আসরগুলোতে সাগরিকার আউটার মাঠে অনুশীলন করতো দলগুলো। এবার কোনো দলকেই আউটার মাঠে দেখা যায়নি। যদিও সেখানে জায়গা স্বল্পতায় অনুশীলন আগেও করতে চাইতো না দলগুলো। তবে এবার একদমই আউটারে অনুশীলন করছে না দলগুলো।