খেলা
সিলেটকে হারালো ‘উৎফুল্ল’ রাজশাহী
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
বৃহস্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে চলেছে নাটকীয়তা। পরের দিন দুপুরে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা আদৌ ম্যাচ খেলবেন কিনা সেটাই ছিল ‘টক অব দ্য স্পোর্টস।’ তবে সারাদিনের নাটক শেষে রাতে ক্রিকেটারদের হাতে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক তুলে দেয় দুর্বার রাজশাহী দলের মালিকপক্ষ। হাতে পারিশ্রমিক পেয়েই যেন উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন দলটির ক্রিকেটাররা। গতকাল ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পর দারুণ বোলিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় বড় লাফ দেয় দুর্বার রাজশাহী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬৫ রানে হারায় এনামুল হক বিজয়ের দল। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে রাজশাহী তোলে ১৮৪ রান। জবাবে ১১৯ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ রাজশাহীর। ৬ নম্বর থেকে উঠে এসেছে টেবিলের ৪ নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে সিলেট। ৭ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে শীর্ষে রংপুর।
রান তাড়ায় ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় সিলেট। প্রথম ওভারেই সিলেটের আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং আর তৃতীয় ওভারে রনি তালুকদারকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরান সানজামুল ইসলাম। তবে রানের চাকা সচল রাখেন জাকির হোসেন। পঞ্চম ওভারে এক চার ও পরের ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান।
অষ্টম ওভারে জাকিরের ব্যাট থেকে আসে আরও দুটি চার। তবে ইনিংস বেশিদূর টানতে পারেননি তিনি। ইনিংসের দশম ওভারে মার্ক দেয়ালের শিকার হওয়ার আগে করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৯ রান। এতে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। সঙ্গী হারানোর পরের ওভারে বিদায় নেন জর্জ মাঞ্জিও। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২০ রান। এরপর আর কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ৩০ রানের মধ্যে তারা হারায় ৬ উইকেট। মূলত তখনই ম্যাচের ফল অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যায়। তবে ব্যাট হাতে শেষদিকে লড়াই করেছেন জাকের আলী। যদিও তার ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ১৫ রান জমা হয় রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে। পরের ওভারে আসে আরও ৯ রান। তবে উদ্বোধনী বেশি বড় হয়নি, তৃতীয় ওভারেই ফেরেন ১৪ বলে ১৯ রান করা পাকিস্তানি মোহাম্মদ হারিস। তাতে রানের গতিও কমে যায়। প্রথম ২ ওভারে ২৪ রান তোলা রাজশাহীর পাওয়ার প্লে শেষে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান।
৭ম ওভারে নিহাদুজ্জামানকে দুই ছক্কা হাঁকান জিসান আলম। তবে তিনিও ব্যর্থ ইনিংস বড় করতে, পরের ওভারের প্রথম বলেই ধরেন ড্রেসিংরুমের পথ। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২০ রান। দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ইনিংসের নবম
ওভারে সিলেটের জিম্বাবুইয়ান স্পিনার রায়ার্ন বার্লকে হাঁকান দুই ছক্কা ও ১ চার। তবে বাকি সতীর্থদের মতো তার ইনিংসেও থামে আগেভাগে , করেন ২১ বলে ৩২ রান। এরপর ইয়াসির আলীও দ্রুত ফিরলে হাল ধরেন বার্ল। ১৩তম ওভারে চার-ছক্কা দিয়ে শুরু, ১৫তম ওভারে হাঁকান টানা তিনটি ছক্কা। আর দুটো ওভারই করেন সিলেট অধিনায়ক আরিফুল হক। ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৭ বলে ৪২ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও। এরপর শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৬ বলে ১২ আর আকবর আলী ১৫ বলে ১৪ রান করেন।