ভারত
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ২:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের সাড়া পাওয়া গেছে। কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সম্মতি দিয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের আমন্ত্রণে মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে কয়েক হাজার ভারতীয় সেনা প্রাণ দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয সেনার যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এর পর থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে ভারতের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড। এই উপলক্ষে প্রতিবছরই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এবং সেনা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত বছরেও প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তা এই বিজয় দিবস উপলক্ষে পালিত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সেনা কর্তৃপক্ষের তরফে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে আমন্ত্রণের বার্তা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতদিন উত্তর আসেনি। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরের পর ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে অংশগ্রহণের বার্তা এসেছে বলে ফোর্ট উইলিয়াম সূত্রে জানা গেছে।
গত শনিবারই এই উপলক্ষে উৎসবের সূচনা হয়েছে। সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল মোহিত শেঠ ও প্রবীণ সাংবাদিক মানস ঘোষ। বিজয় দিবসে ফোর্ট উইলিয়ামের গেটে স্মারক স্তম্ভে দুই দেশের সেনাকর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পার্ঘ্য দেবেন। এরপর ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণরা তাদের স্মৃতিচারণ করবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারাও ভারতের প্রবীণ সেনাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভাব বিনিময় করবেন। অন্যন্য অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনারা সম্মানের সঙ্গে বিজয় দিবসে নানা কর্মসুচি নিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
কেন?
আমার কাছে মনে হয় যেহেতু এটা বাংলাদেশের যুদ্ধ হয়েছে এবং ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে সেজন্য অনুষ্ঠান বাংলাদেশই হোক ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে অংশগ্রহণ করুক। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করাটাই বেটার
ভারত কখনই বাংলাদেশের ভালো চায়না তারা তাদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝে না
ভারতীয়রা যুদ্ধ করেছে শুধু তাদের সার্থের জন্য। সুতরাং ওখানে না যাওয়াই উত্তম।
সাময়িক রাজনৈতিক ভুল বুঝাবুঝি পরিত্যাগ করে পাশাপাশি দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণ ও নেতৃবৃন্দ হাতে হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাবে আমরা দুদেশের জনগণ সেটাই প্রত্যাশা করি।
"১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে ভারতের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড"। এতেই কি পরিষ্কার হয় না কেন ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্বে সাহায্য করেছিল এবং স্বরনার্থী আশ্রয় দিয়েছিল।
বিষয়টি যেন এখানেই সীমাবদ্ধ থাকে। সবসময়ই ভারত আমাদের উপর কর্তৃত্ব বিস্তারে মরিয়া! ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে।