অনলাইন
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা
বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৩:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলায় ২০১১ সালে আসামি মুফতি হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে সস্পুরক চার্জশিট দেয়া হয়। ওই চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত বিচার করেছিলেন। তবে আদালতের ওই রায় বেআইনি ও অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট এসব কথা বলেন। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।
পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট আরও বলেন, এ ধরনের মামলায় পরস্পর কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন, এই মর্মে কোনো এভিডেন্স নেই। টর্চার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, একইসঙ্গে মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়ার নজির নেই।
আদালত বললেন, এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এর ফলে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাই খালাস পেয়েছেন। আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন হাইকোর্ট। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন।
ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামির খালাস চান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।
খুনি হাসিনা র ফরমায়েশী রায় ছিল।
অভিযোগ গঠনই যদি ঠিক না থাকে তবে নিম্ন আদালত কিসের ভিত্তিতে বিভিন্ন জনকে অভিযুক্ত করে দন্ড দিয়েছিল? বিচার বিভাগের এহেন খামখেয়ালি কি গ্রহণযোগ্য? জনগন এখন ধারণা পাবে? রাজনৈতিক উদ্দেশ্য শুধু হয়রানির জন্য এমন করা উচিৎ নয়।
তাহলে নিরপরাধ তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর সহ অন্য আসামীরা বছর পর বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে বছরের পর বছর জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। যে পুলিশ অফিসারের তদন্তের কারণে, যে বিচারকের রায়ের কারণে এবং যাদের ষড়যন্ত্রের কারণে আসামিদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে তাদের বিচার এখন সময়ের দাবি।
যে পুলিশের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট এবং যে বিচারকের বিচারের রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবরকে ‘মৃত্যুদন্ড’ মাথায় নিয়ে দীর্ঘ বছরগুলো মৃত্যুযন্ত্রণায় ভোগ করতে হলো; অথবা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন না হলে হয়তো তাকে ফাঁসিতেও ঝুলানো হতো; সেই বিচারক এবং পুলিশ অফিসারের বিচার কে করবে?
It's really a very good news for our Nation Alhamdulilah Bangladesh Zindabad,tarek Zia Zindabad .
সত্যের বিজয় অনিবার্য