ভারত
২০২৫ সালের কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ থাকবে কিনা তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(২ মাস আগে) ১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ২:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন
৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি। মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য গুণিজনেরা। স্থান, বইমেলা প্রাঙ্গণ, সল্টলেক। এবছরের ‘থিম কান্ট্রি’ জার্মানি। জার্মানির ভাইস কনসাল সাইমন ক্লাইনপাস এবং গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ওয়েগে জানান, পরিবেশ সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য জার্মান প্যাভিলিয়নে গুরুত্ব পাবে। গ্রেট বৃটেন , আমেরিকা, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া-সহ একাধিক দেশ অংশ নিচ্ছে। রাজ্য প্রকাশনা সংস্থাগুলোর মধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট অংশ নিচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠক করায় সময়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন বই-সেলার ও পাবলিশার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদীবকুমার চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি তিনি। বাংলাদেশ আদৌ অংশ নিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে আমরা সরকারি নির্দেশনা ছাড়া কোনও কথাই বলতে পারছি না। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘গিল্ডের তরফে আমাদের কাছে কোনও আমন্ত্রণ এসেছে বলে তো জানি না! আমরা অবশ্যই কলকাতা বইমেলায় আসতে আগ্রহী।’’ গিল্ড সূত্রে দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের তরফেই গিল্ডকে প্রতি বার বইমেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে বলা হয়। কিন্তু এ বার এখনও সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে বইপ্রেমীদের অভিমত, ইদানীং দুই বাংলার পারস্পরিক সম্পর্কে যে তিক্ততার ছাপ বইমেলায় তার ছায়া না পড়াই ভালো। ২০২৪ সালের বইমেলায় এসেছিলেন ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী মানুষ। বই বিক্রি হয়েছিল ২৩ কোটি টাকা। এই অভাবনীয় সাফল্যের ফলে যেমন সবাই আনন্দিত, তেমনই কিছুটা চিন্তান্বিতও। কারণ, আগামী বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক নতুন প্রকাশক আবেদন করেছেন। অথচ বইমেলা প্রাঙ্গণের পরিসর একই রয়েছে। ফলে স্টলের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বাড়ানো সম্ভব হবে না। যদিও চেষ্টা করা হচ্ছে, কীভাবে এবারের বইমেলার প্রাঙ্গণকে অতিথিদের জন্য আরও সুগম করে তোলা যায়।
ভারতীয় আধিপত্য ব্যাপক ছিল বাংলাদেশের উপর! শেখ হাসিনার পতনে সেই ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী এন বাংলাদেশের উপর তাদের চরম আক্রোশ নিয়ে আছে!! ধিক ........
No need to go there, if they are not interested.
ভারতের সাথে যেচে মেশার কোন যুক্তি নেই । যতই আমরা ওদের সাথে মেশার চেষ্টা করব ততো ওরা আমাদের দুর্বল ভাববে। তা ছাড়া ভারতের সাথে শত্রু- বন্ধু কোনটাই নয় এমন নীতিতে চললে আমাদের ভাল হবে বলে।
ভারত আজীবন ভিসা বন্ধ রাখুক তাতে বাংলাদেশেরই লাভ, ভারতে ডলার টাকা নিয়ে গেলে আমাদের টাকার মান কমে যায়।