খেলা
‘ব্যাটিং সমস্যা’ রাতারাতি সমাধান হবে না!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবারবিপিএলে তিনবার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ১৪ বছর আগে জাতীয় দলেও সহকারী কোচের ভূমিকায় কাজ করেছেন। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা কোচদের একজনও বলা হয় তাকে। বেশ অনেক দিন থেকে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের দাবি তিনি যেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশি কোচদের ওপর আস্থাই রাখতে পারেনি। তবে বিসিবি সভাপতি বদলেছে। বদলেছে চিন্তাও। এবার নয়া সভাপতি ফারুক আহমেদ এসেই জাতীয় দলে দেশিদের নিয়ে ভাবনা শুরু করেন। কথা হয় সালাউদ্দিনের সঙ্গে, অবশেষে সব প্রতিকূলতা দূর করে তিনি সহকারী সিনিয়র কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন টাইগার ক্রিকেটে উন্নতি ফিরবে তার হাত ধরে আবার কেউ বলছেন তিনি ‘ওভার রেটেড কোচ’। দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম মিশন ক্যারিবিয়ানে। সেখানে বাংলাদেশ খেলবে টেস্ট ছাড়াও তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এমন সফরের আগে বাংলাদেশ দল আছে দেয়ালে পিঠ ঠেকানো অবস্থায়। ভারতে হেরেছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হার। এমনকি আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজাহতে ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হেরেছে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে এনেছে সমতা। কিন্তু প্রতিটি হারের পেছনে প্রধান কারণ ভীষণ রকমের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যা কিনা দলের এখন অন্যতম চিন্তার কারণ। কিন্তু সালাউদ্দিন জানিয়ে দিলেন এই সমস্যার সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আসলে সমস্যাটা কোথায় তা জানতে হলে সরাসরি কাজ করতে হবে। তার আগে বলা যাচ্ছে না মানসিক, নাকি কৌশলগত দিক থেকে সমস্যা। চেষ্টা করবো আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।’
দীর্ঘ দিন পর জাতীয় দলের সঙ্গে। তাই অবধারিতভাবেই প্রশ্ন, জাতীয় দলের অনুশীলন জার্সি গায়ে চাপিয়ে কেমন লাগছে? তবে বরাবরই নিরুত্তাপ সালাউদ্দিন জানিয়ে দিলেন তিনি খুব একটা অনুভূতিপ্রবণ মানুষ নন। তিনি বলেন, ‘আমার আসলে অনুভূতি খুব কম। অনুভূতি হয় না। কারণ এটা আমার পেশা। আমি যেই জার্সিতেই থাকি, সেটাতে পুরোটা দেয়াই হচ্ছে আমার কাজ। আমি চাই যেন ১১০ পার্সেন্ট দিতে পারি। আমি যেহেতু পেশাদার কোচ, আমি যেখানে কাজ করবো, সেখানেই আমার পুরোটা দিতে হবে। অনূভূতি তো অবশ্যই থাকবে। হয়তো বাসায় রোমাঞ্চটা একটু বেশি। চেষ্টা করবো যেন মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসছে; আমি দেখলাম শেষ কিছুদিনে, সেটার প্রতিদান দেয়াও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে।’
এর আগেও জাতীয় দলে কাজ করেছেন সালাউদ্দিন। তবে ২০১০ সালে সহকারী কোচের দায়িত্ব ছাড়েন। এর মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে চারবার বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার হলেন সিনিয়র সহকারী কোচ। দায়িত্বটা কেমন হবে সালাউদ্দিনের? তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি সহকারী কোচ, আমার মনে হয় যেহেতু হেড কোচ আছে এখানে, তার দর্শনটা আসলে আমাকে...সে কীভাবে দল চালাচ্ছে, তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাহায্য করা যতটুকু পারি। আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। হাতে খুব একটা সময় নেই। এত দ্রুত জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সুফল কতটা বয়ে আনা সম্ভব? এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত সময় যতটুকুই হোক আমি যদি কারও জীবনে সামান্য প্রভাব রাখতে পারি সেটাই মনে করি স্বার্থকতা। কারও জীবন ব্যাকরণগত দিক থেকে অনেক পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু আমার একটা কথা বা কিছুতে কিছুটা পরিবর্তন হয় আমি মনে করি সেটা আমার জন্য অনেক বড় স্বার্থকতা।’ অন্যদিকে সালাউদ্দিন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করতে সরাসরি মানাই করে দিলেন। তার স্পষ্ট কথা কাউকে দ্রুত হিরো বা ভিলেন বানানোর কোন মানে হয় না। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আপনাদের কাছে আমি একটা অনুরোধ করবো আপনারা কেউ কাউকে তাড়াতাড়ি হিরো বানাইয়েন না, কাউকে তাড়াতাড়ি ভিলেন বানাইয়েন না। যখন একটা ছেলে আসে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসে, অনেক পারফর্ম করেই কিন্তু দলে আসে। সে অনেক স্ট্রাগল পিরিয়ড পার করে আসে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকের হয়তো লেগে যায় সফল হতে। আবার অনেকেই হয়তো এসেই সফল হয়ে যায়। তখন কিন্তু আপনারা হিরো বানিয়ে ফেলেন তারপরে দেখেন ২ ম্যাচে রান করেনি তখন আবার ভিলেন বানিয়ে ফেলেন। আমার মনে হয় এখানে আপনাদের একটা বড় ভূমিকা আছে।
Kobe hobe.25 bochor gelo aro 25 bochor lagbe?