অনলাইন
ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৯ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় একটি কার্যালয় করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার ঢাকায় একটি হোটেলে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্কের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার বৈঠকের পর এ তথ্য জানান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সরকারের আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার তুর্ক।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, একটা খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। অফিসটা চালু হলে যে সুবিধাটা আমাদের সবচেয়ে বেশি, সেটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, ওরা সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।
ঢাকায় মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ।
তিনি বলেন, ওরা তদন্ত করলে, আমাদের যে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসেন, চলে যান, তারা যদি নিজেদের অপরাধের তদন্ত করে, সে তদন্ত তো হয় না।
আমরা নাগরিক সমাজ থেকে যখন তদন্ত করি অথবা সত্যটা যখন তুলে ধরি, তখন আমাদের ওপর নির্যাতন আসে এবং আমার নানা চাপের ভেতরে থাকি। এবং সেই কথাগুলো ব্যক্ত করা যায় না, রিপোর্টও করা যায় না।
শিগগির এই কার্যালয় চালুর উদ্যোগ নেয়ার কথা তুলে ধরে শারমীন মুরশিদ বলেন, মানবাধিকারের জাতিসংঘ কার্যালয় থাকা মানে, এখানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে একটা বড় শক্তি আমাদের বাড়ল।
বৈঠকে আলোচনার অন্যান্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, ওরা যেটা জানতে চাইল আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে, সেটা হচ্ছে যে, আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী দেখছি এবং আমরা কীভাবে বর্তমান অবস্থাটা দেখছি। এবং আমরা প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্র থেকে আমরা বলেছি, চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং কোথায় তারা আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। এটাই হচ্ছে মূল কথা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এমন কার্যালয় হতে যাচ্ছে।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
শারমিন মুরশিদ উপদেষ্টার কথায় হতাশ হলাম। তিনি নিজেই বলেছেন, এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত । অথচ উনারা শুধু তিনজন বসে এতবড় ,দেশের অন্য কারো--কোন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন, সমাজবিদ,শিক্ষাবিদ,কারুর, মতামত, নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না।এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও পরিক্ষা নীরিক্ষা বা মতামত নেওয়া হয়েছএ কিনা তাও জানা গেলনা। গতকালের মানব জমিনের প্রতিবেদনে এর যে negative বিষয়াদি উঠে এসেছে, তার পরে এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়া কোন মতে ই ঠিক হবে না। বতমান অন্তর বতী সরকারের কাছে অনুরোধ সিদধানত নেয়ার আগে বিষয়টি আরো ভেবে দেখবেন এবং জনমত গ্রহ ন করবেন
ফিলিস্তিনেও তাদের অফিস আছে,সেখানে মানবাধিকারের কি কতটুকু উন্নতি হয়েছে তাদের দ্বারা একটু জিগ্যাসা করতে মন চায়।
বিষয়টি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ।
কয়দিন যেতে না যেতেই এরা পাহাড়ের স্বাধীনতা, সমকামিতার স্বাধীনতা এবং রোহিঙ্গাদের উদবাস্তু হিসাবে সিকৃতি দেয়ার দাবী করবে।
excellent.
এটা করতে দেওয়ার মানে হলো এই দেশে হিন্দুরা নির্যাতিত প্রমান করা।
কয়দিন যেতে না যেতেই এরা পাহাড়ের স্বাধীনতা, সমকামিতার স্বাধীনতা এবং রোহিঙ্গাদের উদবাস্তু হিসাবে সিকৃতি দেয়ার দাবী করবে। তাদের অফিস অনুমোদনের আগে নেগেটিভ পজেটিভ উভয় দিকে বিচার বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। এসব সিদ্ধান্ত এই সরকারের নেয়া উচিৎ হবেনা।
অনেক দেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস নেয়নি ভালো করে জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আমাদের বাংলাদেশের
খুব ভালো উদ্যোগ
আগের প্রতিবেদনে আশান্বিত হইছি।আজকে হতাশ হইলাম। সরকার কি বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিবে না??