ঢাকা, ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ অন্তর্বর্তী সরকার

অনলাইন ডেস্ক

(৬ মাস আগে) ২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫৯ অপরাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ অন্তর্বর্তী সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একাধিক উপদেষ্টা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্তও করেছেন। রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তবে প্রতিক্রিয়া, আলোচনা-সমালোচনার মুখে বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগকেন্দ্রিক মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আড়াই মাসের মাথায় ১৯ অক্টোবর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি শুনেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন; কিন্তু তাঁর কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এই কথোপকথন পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

এই বক্তব্য প্রকাশের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের মধ্যেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রাষ্ট্রপতির মন্তব্য নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা।

সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

যুগান্তর

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘দিনভর দেশজুড়ে তোলপাড়’। খবরে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এর দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই’-রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন বক্তব্যে দেশজুড়ে তোলপাড় অবস্থা বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে ‘স্ববিরোধী’ ও ‘মিথ্যাচার’ বলেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির শপথ লঙ্ঘনের শামিল। তিনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ভেবে দেখতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক মশাল মিছিল থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। অন্যদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংসদ বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ আর থাকে না, এখন এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এদিকে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্র্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত না করার আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার পদত্যাগের কথা প্রথমে জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেদিন রাতেই বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন। এ ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে।

এতদিন পর আবার আলোচনায় এসেছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি। সাপ্তাহিক ‘জনতার চোখ’ ও দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে লেখেন, বঙ্গভবনে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তাকে রাষ্ট্রপতি জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এর দালিলিক কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

কালের কণ্ঠ

‘রাষ্ট্রপতি কি শপথ ভঙ্গ করলেন!’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার এবং শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে রেখে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’ এর প্রায় আড়াই মাস পর বলছেন ভিন্ন কথা।  
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আমি শুনেছি তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন।

কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু  চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’ একই সঙ্গে তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘এ নিয়ে (প্রধানমন্ত্রীর পদে শূন্যতা ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠন) আর বিতর্কের কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এটাই সত্য। তার পরও কখনো যাতে এ প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়েছি।’

সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিয়ে থাকেন। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য যেসব তথ্য অনিবার্য, সেসব তথ্য আমি গোপন রাখব—এই শপথ নেন তাঁরা। সে হিসাবে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য শপথভঙ্গ হয়ে যায়।’ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, অসত্য কথা বলায় রাষ্ট্রপতির নিজে থেকে পদত্যাগ  করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘বিতর্কে জড়ালেন রাষ্ট্রপতি বাড়ছে পদত্যাগের চাপ’। খবরে বলা হয়, আচমকা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মন্তব্য করে বেশ চাপে পড়েছেন তিনি। তাঁর এমন মন্তব্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দূরত্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যদিও গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারপরও শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র প্রশ্নে বিতর্ক থামছে না।

মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, 'তিনি শুনেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তাঁর কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।' সাক্ষাৎকারটি পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ 'জনতার চোখ'-এ প্রকাশিত হয়।

রাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্যের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা চলতে থাকে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল আখ্যায়িত করে তাঁর পদত্যাগ দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ছাত্ররা।

এদিকে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন। তাঁর বক্তব্য শপথ লঙ্ঘনের শামিল। তিনি যদি তাঁর বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, 'এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর হতে পারে না। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। এর পর পদত্যাগপত্রের কী প্রয়োজন আছে?' জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকার গঠনের দুই

ইত্তেফাক

‘বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প’। এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করার পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। ফলে বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পটি বাতিল হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়ে চূড়ান্ত চুক্তি সইয়ের জন্য অপেক্ষমান ছিল।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে গ্যাস আনা বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। ভারতের গ্যাসের মান বাংলাদেশের চাইতে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের। প্রতিবেশী দেশটির গ্যাসের সালফার বেশি এবং হিটিং ভ্যালু (জ্বলন ক্ষমতা) কম। অর্থাত্ ওই গ্যাস পরিমাণে বেশি ব্যবহার করতে হবে। আবার ওই গ্যাস দেশীয় গ্যাসের চেয়ে পরিবেশের বেশি ক্ষতি করে।  এছাড়া প্রকল্পটি বিশেষ আইনে বাস্তবায়ন করার কথা ছিলো। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ আইন স্থগিত করার কারণে এখন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কোন সুযোগ নেই।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, দেশের গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি দূর করার যুক্তি দেখিয়ে ভারত থেকে এলএনজি আমদানি করতে বাংলাদেশ-ভারত পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বিশেষ আইনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিলো। এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো অল্প সময়ে কম পরিবহন খরচে নিরবিচ্ছিন্নভাবে এলএনজি আমদানি করার জন্য। কিন্তু ওই গ্যাসের হিটিং ভ্যালু কম হওয়ায় প্রকৃত অর্থে গ্যাস আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাবে। পরিবহন খরচে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা জ্বালানির সার্বিক দাম বাড়াবে। বর্তমানে কার্গো জাহাজে করে সমুদ্রপথে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘ফিরতে শুরু করেছেন পোশাক খাতের বিদেশী ক্রেতারা’। খবরে বলা হয়, দেশের পোশাক শিল্প খাতে অস্থিরতায় প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার কাজের অর্ডার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা দেশের মোট পোশাক রফতানির ৫ থেকে ৬ শতাংশ। তবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে সাম্প্রতিক সময় গার্মেন্ট খাতে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি আমেরিকা, ইউরোপসহ পোশাক খাতের বড় বাজারগুলোতে কাজের অর্ডার বাড়ছে বলে তারা জানিয়েছেন।

দেশের পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন তৈরী পোশাকের বৈশ্বিক ক্রেতারা আগামী বছরের কার্যাদেশ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে নতুন কাজের অর্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে যে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছিল তা অনেকাংশ কেটে গেছে। এমনটাই জানিয়েছেন গার্মেন্ট খাতের ব্যবসায়ীরা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন সাম্প্রতিক শ্রম অস্থিরতার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা মূল্যের কাজের অর্ডার প্রতিযোগী দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে আশার দিক হচ্ছে সাম্প্রতিক গার্মেন্ট খাতে স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন কোম্পানিগুলো নতুন অর্ডার নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে।

গার্মেন্ট খাতের নেতারা বলছেন, সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শ্রমিক নেতা এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে অস্থিরতার পর কারখানাগুলো এখন স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন করছে। এমন পরিস্থিতি বিদেশী ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছে বলে তারা মনে করছেন।

একই সাথে পোশাক রফতানিকারকরা বলছেন তারা এখন তাদের উৎপাদন সক্ষমতার চেয়ে বেশি অর্ডার পাচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রধান বাজারগুলোতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হওয়াতে অনেক বেশি কাজের অর্ডার আসতে সাহায্য করছে বলে রফতানিকারকরা মনে করছেন।

বণিক বার্তা

বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিয়ে দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘আন্তর্জাতিক নয় অভ্যন্তরীণ কারণেই জেঁকে বসেছে মূল্যস্ফীতি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এর আগে নিত্যপণ্যের বাজারে এ মাত্রার ঊর্ধ্বমুখিতা এত দীর্ঘ সময় বিরাজ করতে দেখা যায়নি।

দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে কমছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও প্রকৃত আয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এ মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বহিঃস্থ বা দেশের বাইরের উপাদানগুলোকে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতি জেঁকে বসেছে মূলত অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোর কারণেই।

সর্বশেষ জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের মূল্যস্ফীতির গতিবিধি নিয়ে গতকালই ‘ইনফ্লেশন ডায়নামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নিয়মিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এ তিন মাসে হেডলাইন মূল্যস্ফীতির অর্ধেকের বেশি বা ৫১ শতাংশ এসেছে খাদ্যপণ্য থেকে। এর মধ্যে বড় অবদান রেখেছে খাদ্যশস্য ও সবজির মূল্যবৃদ্ধি।

এর আগে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির বড় প্রভাবক ছিল আমিষ পণ্য, মসলা ও রান্নায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় পণ্য। পাশাপাশি চাল, গম ও সবজির দামে ঊর্ধ্বমুখিতারও ব্যাপক প্রভাব দেখা গেছে। এসব পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় জুলাইয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় গত এক যুগে সর্বোচ্চে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠে দাঁড়ায় ১৩ বছরে শীর্ষে।

আজকের পত্রিকা

‘সংকটেও প্রশাসনে গাড়িবিলাস’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতির নাজুক অবস্থা এখনো কাটেনি। এর মধ্যে নানা অব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে ব্যয় অনুযায়ী আসছে না কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে বড় আকারের ঘাটতি বাজেট।

এরপরও এসব বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০০ দামি গাড়ি কেনার আয়োজন করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থ ছাড় করার জন্য তারা চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে। প্রতিটি ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যে গাড়িগুলো কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) বিলকিস জাহান রিমি আজকের পত্রিকাকে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পর্যালোচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। অর্থনীতির নানাবিধ সংকটের মধ্যেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের জন্য মিতসুবিশি পাজেরো কিউএক্স মডেলের ২৬১টি গাড়ি কেনা হয়। প্রতিটির মূল্য ছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেই গাড়ি এখনো বণ্টনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ডিসি এবং ইউএনওদের জন্য এসব গাড়ি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তা নিয়ে সমালোচনা হয় এবং একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। পরে অবশ্য গাড়িগুলো কেনা হয়েছে।

এবার নতুন উদ্যোগে একই মডেলের গাড়ি কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে আগের তুলনায় প্রতিটি গাড়ি কেনার খরচ বেশি পড়বে ২৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাজারে গাড়ির দাম বেড়েছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২০০ গাড়ি কেনার এই চাহিদা প্রস্তাব পাঠান।

পরিবহন কমিশনার চাহিদা প্রস্তাবে বলেছেন, সারা দেশে ৪৯৫ জন ইউএনওর প্রত্যেকের জন্য একটি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ১৪ বছর আয়ুষ্কাল শেষ হবে এমন গাড়ির সংখ্যা ৪৬১টি। এর মধ্যে গত অর্থবছরে প্রতিস্থাপন করার জন্য ১৯৭টি গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হবে। 
জনপ্রশাসনে গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে ডিসি এবং ইউএনওদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পরিবহন সেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য বাকি ২০০ গাড়ি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পতার খবর ‘ভাই ভাতিজির আবদারে দুর্নীতি করতেন মন্নুজান!’। খবরে বলা হয়, একসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধেই ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের চাপে একপর্যায়ে এমনই দুর্নীতিতে জড়িয়ে যান যে, মন্নুজান আর দুর্নীতি একাকার হয়ে যায়।

প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর তার ভাই, ভাতিজি ও ভাগ্নেসহ পরিবারের ১৪ জনকে বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা চাকরি পেয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে অন্যায় সুবিধা আদায় করে নেন। নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এপিএস) সাহাবুদ্দিন, ভাতিজি কলকারখানা ও পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামীমা সুলতানা হৃদয় এবং ভাগ্নে কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী পরিচালক ইয়াসির আরাফাত পৃথিবীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে। জানা গেছে, মন্নুজান সুফিয়ানের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের মধ্যে ১৪ জনকে চাকরি দিয়েছেন। প্রথমে তার ছোট ভাইকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ভাইয়ের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়কে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, হৃদয়ের স্বামী মেহেরাব পাটোয়ারীকে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেন।

এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর বোনের ছেলে এএম ইয়াসিরকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সহায়তায় গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেওয়া হয়। পরে প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজি, ভাতিজি জামাতা ও ভাগ্নেকে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। আর তারা পুরো মন্ত্রণালয় নিজেদের কবজায় নেন। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি জানলেও কিছু করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Deaths in crashes rising as roads remain unsafe’ অর্থাৎ ‘সড়ক অনিরাপদ থাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা ও এতে প্রাণহানি গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সড়ক পরিবহন খাতে নৈরাজ্য ও শৃঙ্খলাহীনতাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে পরিবহন সমিতির প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের স্বার্থে একটি চক্র তৈরি করেছেন।

তারা বলছেন, আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে পরিস্থিতি মোকাবিলার একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তবে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কোনও বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশ/ ডিএমপির দুঃখ প্রকাশ, এসআই ক্লোজড

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status