অনলাইন
পূজামণ্ডপে সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৮ মাস আগে) ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম নগরে একটি পূজামণ্ডপে ‘ইসলামিক সংগীত’ পরিবেশনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শহিদুল করিম ও নুরুল ইসলাম। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
শুক্রবার সকালে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি গানের দল গান পরিবেশন করে। সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র আলোচনা-সমালোচনায় মাতেন নেটিজেনরা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই গানের দলের ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠেন। সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করেন। এর মধ্যে শুধু ‘মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজা মণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তারা ওই সংগঠনটিকে জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করেন। যদিও জামায়াত জানিয়েছে, তারা এই গান করার বিষয়ে কিছুই জানে না, গানের দলটিও তাদের কোনো অঙ্গ সংগঠন নয়।
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সজল বাবু আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন, আপনারা একটু আসেন। আপনাদের একটু ফ্লোর (সুযোগ) দেব। কিছু দেশাত্মবোধাক গান গাইবেন। সে আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দলটি দু’টি সম্প্রীতির গান করে। কিন্তু এটি নিয়ে একটা পক্ষ প্রচারণা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্র করতেই আমরা গান করতে গিয়েছি। আমরা তো জোরপূর্বক কিছুই করিনি। দাওয়াত পেয়েই গিয়েছিলাম।’
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি জামায়াতের কোনো গানের দল কি-না এমন প্রশ্নে সেলিম জামান বলেন, ‘এটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন নয়। শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে আমাদের গানের দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।’
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের অনুমতি নিয়ে ওই গানের দলটি পূজামণ্ডপে এসে গান পরিবেশ করেছে বলে জেনেছি। তবে ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’
সংগঠনটি জামায়াতের কিনা এমন প্রশ্নে হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই।’
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কয়েকটি ছেলে মণ্ডপে গিয়ে সম্প্রীতির গান গেয়েছে শুনলাম। তবে এদের সঙ্গে জামায়াত বা শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
পাঠকের মতামত
বেশি মিষ্টি খেলে পেটে সমস্যা হয়। এদের সাথে অতি উত্সাহী হয়ে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করার এমন কী দরকার ছিল? এখন মজা বুঝেন।
কুরআন হাদিসে কোথাও কি বলা হয়েছে, পূজামন্ডপে গিয়ে ইসলামিক গাণ পরিবেশন করতে? ধর্ম প্রচারের এইসব তরিকা এরা কোথায় পেল?
গান গাইলে কি সমস্যা?
চারিদিকে ষড়যন্ত্র!!! চলিতেছে সার্কাস!! যারাই করুক, তদন্ত করে, বিচারের আওতায় আনতে হবে!! ধর্ম নিয়ে তামাশা করার কোন সুযোগ নেই!! যারা করেছে জেনে, শুনে, বুঝেই করেছে এবং সমালোচনার জন্যই করেছে
নজরুলের সম্প্রতির গান, নজরুলের শ্যামা সংগীত ও মন্ডপে পরিবেশন করে, এতে গ্রেফতারের মত অপরাধ কি ছিল ? এটা স্বৈরাচারের এজেন্টরা তিলকে তাল করছে।
এখন যারা মন্দির পাহারা দিচ্ছেন, তাঁরা যদি বাইরে চেয়ারে বসে আল্লাহ্ নামের যিকির করে, তাহলে তাঁদের নামে কি মামলা হবে?
তাহলে কেন ভাই এতদিন এই জাতিকে গেলানো হলো ধর্ম যার যার উৎসব সবার, যারা এই কথা বলে তারাও বিশ্বাস করেনা কথাটা। সুতরাং ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার আবার প্রমাণিত।
স্বৈরাচার একনায়কতন্ত্র একরোখা শাসক শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছু ঘটিলে যাচাই-বাছাই না করে যেমন চোখবুঁজে বলে দিত এটা জামায়াত ইসলামের কাজ একই কায়দায় চট্টগ্রামে পূজা মণ্ডপে ইসলামী সংগীত গাওয়া কে কেন্দ্র করে জামায়াত ইসলামের নাম দিয়ে আসল ঘটনা যে পূজামণ্ডপ কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে তারা যে ঐখানে সংগীত গাইতে গেছে তাহা আড়াল করে তিল কে তাল বানিয়ে বানোয়াট কল্পকাহিনি বলে স্বৈরশাসকের দোসরা সমাজে অহেতুক বিভ্রান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।
জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট। তবে তা অস্বীকার করা মানে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। তেমনি এটাকে খুব বড় করে দাঙ্গা তৈরির চেষ্টা উচিত নয়। মিডিয়া এটাকে খুব বেশি করে লিড করছে।
দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হউক