বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচকে ঘিরে গোয়ালিয়রে বিক্ষোভ সমাবেশ নিষিদ্ধ

গোয়ালিয়রে আগামী রোববার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এই ম্যাচ নির্বিঘ্ন করতে বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে হিন্দু মহাসভা ও কয়েকটি সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে এই প্রশাসনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ বাতিলের দাবি জানায়  ভারতীয় রাজনৈতিক দল হিন্দু মহাসভা। গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠে এটিই হবে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। হিন্দু মহাসভার ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’-এর ডাক ও অন্যান্য সংগঠনের ম্যাচ বাতিলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে বের হতেও বারণ করা হয়েছে।
পিটিআই জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিত (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী, এ সময়ে বিক্ষোভ মিছিল করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা ধর্মীয় উত্তেজনা উসকে দেয়, এমন অডিও-ভিডিও, ছবিসহ কোনো ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা এবং উত্তেজক বার্তা বহনকারী কিছু প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়া, আতশবাজী বহন করা, ছুরি বা বর্শার মতো ধারালো অস্ত্রপাতি বহন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোনো স্থাপনার ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিড বহনও নিষিদ্ধ।