ভারত
আরজিকর কাণ্ডে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘অ্যান্টিমর্টেম’ শব্দ ঘিরে বাড়ছে রহস্য
সেবন্তী ভট্টচার্য্য , কলকাতা থেকে
(৯ মাস আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ২:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা রয়েছে ‘অ্যান্টিমর্টেম’ এই শব্দটি। তরুণী চিকিৎসকের দেহে যে আঘাতগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেগুলি মৃত্যুর আগে নাকি পরে? ধর্ষণ কি খুনের আগেই করা হয়েছিল না পরে? এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই এখন মরিয়া সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর এই রহস্যের সমাধানে ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আঘাতের চিহ্ন সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে ডোমদেরও। তাদের বয়ানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রের খবর অনেকেই মনে করছেন আরজি কর-কাণ্ডে আগে খুন করা হয়েছে। তারপরই হয়েছে ধর্ষণ। নয়তো খুনের উদ্দেশ্যে নির্যাতিতাকে অর্ধমৃত অবস্থায় রেখে পালিয়ে গিয়েছিল অপরাধী বা অপরাধীরা। তারপরই ধর্ষণ করেছে সঞ্জয় রায় । সঞ্জয় ভেবেছিল নির্যাতিতা মারা গিয়েছে। তখন তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পাশবিক অত্যাচারের পর তাঁর মাথায়ও আঘাত করে খুনি। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে দেহের আঘাতগুলি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আরজিকরে ঘটনাস্থলে একাধিকবার ঘুরে আসার পর ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, হতে পারে খুন অন্য কেউ করে থাকতে পারে।
এদিকে বাজেয়াপ্ত করা আরও দুটি মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠাচ্ছে সিবিআই। ওই দুই মোবাইল আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-ঘনিষ্ঠ প্রভাশালী চিকিৎসকের বলে বিশেষ সূত্রে খবর। ওই দুই মোবাইল থেকে অনেক মেসেজ, ছবি ও কল রেকর্ডিং ডিলিট করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের অনেক তথ্য ওই মোবাইল দুটিতে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
এদিকে ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার আরজিকর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সদার্থক না হলে ফের কাজ বন্ধ করবেন তারা।
পাঠকের মতামত
মুল্যবোধের রক্তক্ষরণ।