খেলা
ডি ব্রুইনাকে নিয়ে শঙ্কা, ড্রতেই খুশি সিটি-ইন্টারের কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবারম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠ, কিন্তু তাদের পুরো ম্যাচেই দেখা গেলো ছন্দহীন। অবশ্য স্বাগতিকদের এলোমেলো ফুটবলের সুযোগ নিতে পারলো না ইন্টার মিলানও। দুই দল একের পর এক আক্রমণ করলেও দেখা মিললো না কোনো গোলের। ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর সঙ্গে যোগ হয় কেভিন ডি ব্রুইনার চোট। পরের ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে ম্যাচের ফল নিয়ে সন্তুষ্ট সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা ও ইন্টার বস সিমোন ইনজাঘি। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটির আর ইন্টারের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। ২২টি শট নিয়ে মাত্র পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে সিটি, আর ইন্টারের ১৩ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
২০২৩ চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে ইন্টারকে ১-০ গোলে হারায় সিটি। তবে এদিন ওই ম্যাচের চেয়ে সিটি ভালো খেলেছে বলে মনে করেন গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ফাইনালের চেয়ে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। আজ (বুধবার রাতে) দলের সবকিছুই ভালো লেগেছে। জিতলে ভালো হতো। তবে এখনো হাতে ৭ ম্যাচ আছে। দেখা যাক কী ঘটে।’ ম্যাচ শেষে ইন্টারের কোচ সিমোন ইনজাগিও জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে ছেলেদের বলেছি ভালো খেলেছ। আমরা জানি ম্যানচেস্টার সিটি কী করতে পারে, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। কিন্তু আমরা এমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছি, কিছু সুযোগও বের করেছি।’
সিটির জন্য এই ম্যাচে বাড়তি দু:শ্চিন্তার কারণ ব্রুইনার চোট। এদিন ৪৫তম মিনিটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠে ছাড়েন ডি ব্রুইনা। জ্যাক গ্রিলিশের থ্রু পাস ধরতে গিয়ে চোট পান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনার চোট নিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা (চোটে) নজর রাখব এবং আগামীকাল আরও বেশি তথ্য পাব। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, সে খেলার মতো অবস্থায় নেই। আমি ওকে প্রথমার্ধের বিরতিতেই তুলে নেওয়ার কথা ভেবেছি।’ এর আগে এদিন নিজেদের ৪ নম্বর জার্সি পড়ে মাঠে নামে সিটি। প্রথমার্ধে সিটিকে শুধু জার্সি নয় মাঠেও চেনা যাচ্ছিল না। বিরতির পর অবশ্য আক্রমণাত্মক ফুটবলে আধিপত্য ছড়ায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। বল দখলের পাশাপাশি পুরো ম্যাচে গোলের জন্য শট নেওয়ায় একটু এগিয়েও থাকে তারা; কিন্ত কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি। ১৯তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম প্রচেষ্টা রাখতে পারে সিটি। প্রিমিয়ার লীগে চার ম্যাচে টানা দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৯ গোল করা আর্লিং হালান্দ লাফিয়ে হেড করেন, অবশ্য সেটা ধরতে তেমন বেগ পেতে হয়নি ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সমেরকে।
বিরতির ঠিক আগে পাল্টা আক্রমণে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ইন্টারের নিকোলো বারেল্লা, পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন। প্রতিপক্ষের টানা কয়েকটি আক্রমণের চাপ সামলে ৭৬তম মিনিটে ফের প্রতি-আক্রমণে ওঠে ইন্টার। সতীর্থের পাস সিটির একজনের পায়ে লেগে বক্সে দারুণ পজিশনে পেয়ে যান হেনরিখ মিখিতারিয়ান; কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন ইন্টারের আর্মেনিয়ান মিডফিল্ডার।