অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২৭ অপরাহ্ন
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘শৃঙ্খলা ফেরেনি, পদোন্নতি পদায়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পরও জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরেনি। কর্মকর্তাদের কেউ ব্যস্ত পদোন্নতি নিয়ে, কেউ ব্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে যেতে, আবার কেউ তদবির করছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) হতে। প্রায় প্রতিদিনই সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে ভিড় করছেন তদবিরকারী কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপসচিব পদমর্যাদার ৫০–৬০ কর্মকর্তা, যাঁরা ডিসি হতে পারেননি, তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ (এপিডি) শাখায় গিয়ে হইচই–হট্টগোল করেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে। এরপর তাঁরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যান। গত দুই দিনে ডিসি নিয়োগের দুটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হবে—এমন আশ্বাস পেয়ে তাঁরা ফিরে যান।
মাঠ প্রশাসনেও একধরনের অস্থিরতা রয়েছে। যে কারণে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ২৫ জেলায় এবং গতকাল মঙ্গলবার ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে পেট্রোবাংলা, এলজিইডি, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ–আন্দোলন করছেন। এতে ওই সব দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সমকাল
‘বিএনপি হতাশ হলেও চাপে রাখতে থাকবে রাজপথে’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেন উভয় সংকটে পড়েছে বিএনপি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘সুদিনে ফেরার পথে’ও নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দলটি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দেশ পরিচালনায় প্রথম এক মাসের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে হতাশ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি।
এ সময়ের মধ্যে সরকারের গৃহীত বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট নন দলটির শীর্ষ নেতারা। গত সোমবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন নেতারা। তবে আপাতত হতাশ হলেও চাপে রাখতে রাজপথে থাকার কৌশল নিয়েছে বিএনপি।
অবশ্য তার পরও ছাত্র-জনতার সমর্থনে ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশ্যে এখনই কোনো সমালোচনা করতে চায় না দলটি। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পাদনে সরকারকে যৌক্তিক সময় দিয়ে সহযোগিতা করার নীতিগত অবস্থানে রয়েছে। এ সরকারের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেই সমর্থন দিতে চায় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি।
যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তরের প্রধান খবর ‘পাউবোর জমিখেকো রেজাউল করিম’। খবরে বলা হচ্ছে, সারা দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধিগ্রহণকৃত প্রায় ৩৫ হাজার একর জমির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভূমি রাজস্ব পরিচালক মো. রেজাউল করিম। এখান থেকে শত শত একর জমি নামে-বেনামে, লিখিত ও মৌখিকভাবে লিজ দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। কী পরিমাণ জমি বরাদ্দ বা লিজ দেওয়া হয়েছে, অবশিষ্ট জমির পরিমাণই বা কত-এসবের কোনো হিসাব মিলছে না। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এবং গোপালগঞ্জের নাম ব্যবহার করে কর্মস্থলে নিজের ক্ষমতার বলয় প্রসারিত করেছেন। এভাবেই ৩৫ হাজার একর জমির অলিখিত মালিক সেজে বসেন।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টেই আছে পাউবোর একশ একর জমি। একই প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ৪০ একর জমির ৫ বছরের জন্য লিজ নবায়নের মাধ্যমে পকেটে তুলেছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। এভাবে প্রতিমাসে পাউবোর অধিগ্রহণকৃত জমি লিখিত ও মৌখিক লিজের নামে লাখ লাখ টাকা মাসোহারা আদায় করে এসেছেন তিনি।
অধিগ্রহণকৃত জমি লিজ বা বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করতেন না রেজাউল। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে নিজেকে ক্ষমতাবান বলে জাহির করায় এতদিন কেউ কিছু বলার সাহস পাননি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তার অপকর্মের খতিয়ান প্রকাশ্যে আসা শুরু করেছে। ৫ বছরে তিনি এ অবৈধ আয়ে শুধু বনানীতেই কিনেছেন বিলাসবহুল দুটি ফ্ল্যাট। লাখ লাখ টাকার এফডিআরসহ দামি গাড়ি এবং নিজ গ্রামে দৃষ্টিনন্দন বাড়িও করেছেন। যুগান্তরের দীর্ঘ অনুসন্ধানে এ কর্মকর্তার দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যায়।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘বেনজীর এখন অস্ট্রেলিয়ায়’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়া দুর্নীতির রাজকুমার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বিভিন্ন দেশ ঘুরে এখন থিতু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, পর্তুগাল—কোথাও যেন শান্তি নেই! তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখনকার মতো অস্ট্রেলিয়ায়ই আবাস গেড়েছেন। রূপকথাকেও হার মানিয়ে দুর্নীতিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন একসময়ের অত্যন্ত পরাক্রমশালী এই পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর। প্রচার আছে, পোশাকি সৎ মানুষের আড়ালে তিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘুষের রেট বদলাতেন।
সবার চোখে ধুলা দিয়ে ওই টাকায় ধন-সম্পদের বিপুল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন তিনি। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনই তাঁর এই অবৈধ ধন-সম্পদের কাল হয়ে উঠেছিল। সারা দেশে শোরগোল পড়ে যাওয়া ওই প্রতিবেদনের এক ধাক্কায় ভেঙে পড়ে দুর্নীতিবাজ বেনজীরের সম্পদের পাহাড়। গোপালগঞ্জের সাভানা পার্ক, রূপগঞ্জের বাংলো, মাদারীপুরের ফসলি জমিসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য এক ঝটকায় ক্রোক করে সরকার।
এ জন্য করা হয়েছে তদারকি কমিটি। পরে বেনজীর সব ফেলে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন। সরকারের হাতে যাওয়ার পর কী অবস্থায় আছে বেনজীরের এই বিপুল বাড়ি, ফ্ল্যাট, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা? মানুষের মধ্যে এখনো এই নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। দুর্নীতির খবর চাউর হওয়ার পর বেনজীরকে গোপনে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা
‘জ্বালানি সংকটে লোডশেডিং’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আবার শুরু হয়েছে লোডশেডিং। রাজধানীতেই এলাকাভেদে দিনরাত মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। গভীর রাতেও বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র বলছে, গ্যাস-কয়লাসহ জ্বালানি সংকটে উৎপাদন কমে যাওয়ায় এই ব্যাপক লোডশেডিং। কয়লাভিত্তিক আরও তিনটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার মজুতও কমেছে। এগুলো হলো বাঁশখালীর এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্র (এস আলম গ্রুপের), রামপাল ও মাতারবাড়ী। কয়লার ব্যবস্থা করতে না পারলে এসব কেন্দ্র আগামী (অক্টোবর) মাসে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং আরও বাড়বে।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি যে শিগগির হচ্ছে না, এমন আভাস মিলেছে গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কথায়ও। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সরকার চেষ্টা করছে। এ জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জ্বালানি, কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
পিডিবি সূত্র বলছে, কয়লাভিত্তিক এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে থাকা কয়লা দিয়ে টেনেটুনে এ মাস চলবে। নতুন সরবরাহ না এলে তিনটি কেন্দ্রই আগামী মাসে বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য কয়লা আমদানির অর্থ পরিশোধে দ্রুত তৎপর হতে হবে। পাশাপাশি এলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
নিউ এজ
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম ‘Power cut for 19hrs in villages, 5hrs in cities’. অর্থাৎ ‘গ্রামে ১৯ ঘণ্টা ও শহরাঞ্চলে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। গত কিছুদিন ধরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৯ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না। আর শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কিছুটা কম হলেও সেটি পাঁচ ঘণ্টায় পৌঁছেছে। ফলে তীব্র গরমের মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বিদ্যুৎ আমদানির বকেয়া বিল পরিশোধের চাপের সঙ্গে জ্বালানি সংকটে অনেক উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দেশে বিদ্যুতের বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছে।