ভারত
আরজি করের চিকিৎসকদের কাল কাজে ফিরতে সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা
সেবন্তী ভট্টচার্য্য, কলকাতা থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩১ অপরাহ্ন
সোমবার আরজি কর মামলার শুনানির সময় ভারতের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে হবে চিকিৎসকদের। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি তারা কাজে না ফেরেন, তাহলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
তবে আদালত এটাও জানিয়েছে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। এদিন আরজি কর মামলায় দ্বিতীয় দফার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী গীতা লুথরা।
তিনি বলেন, ‘শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তাররা হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিলে তারা কাজ করতে পারছেন না।’
কর্মবিরতি প্রসঙ্গে লুথরা বলেন, ‘সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন। ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের যুক্তি, কর্মবিরতির জেরে ২৩ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ৬ লাখ রোগী বিপদে।’
আজ আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন-মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়? তার চালান কোথায়? শুনানির একটি পর্যায়ে রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, আরজি কর হাসপাতালে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হাসপাতালে কত বরাদ্দ হয়েছে জানতে চাই না। ওই হাসপাতালে কী করা হয়েছে জানতে চাই।’ এদিন মুখবদ্ধ খামে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করেছে। তবে সেই রিপোর্ট নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
তিনি বলেন, ‘ওপেন কোর্টে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। এতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। আগামী সোমবার তদন্তের আবার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিন।’ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে সিবিআই। ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। রাজ্যের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন করার পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
সোমবার প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, ‘পরবর্তী শুনানিতে জানাবেন, কী কাজ করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের মাথায় ডিস্ট্রিক কালেক্টরদের নিয়োগ করুন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে আমাদের জানান।’