অনলাইন
হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত ৬১ জনের নামের তালিকা প্রকাশ অধিকারের
মানবজমিন ডিজিটাল
(৮ মাস আগে) ১৯ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, ৭:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৫ এবং ৬ মে ২০১৩ ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধিকারের পেইজ থেকে উক্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
পোস্টে বলা হয়ঃ ২০১৩ সালে অধিকার নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সেই নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে এবং ৬১ জন নিহত উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকার এর তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) এর ৫৭ ধারায় মামলা করে।
পোস্টে আরও বলা হয়ঃ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সাল থেকে অধিকার এবং এর নেতৃবৃন্দের ওপর নিপীড়ন, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানি এবং সরকারপন্থী মিডিয়া দ্বারা নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দমন-পীড়ন শুরু করে। এক দশকেরও বেশি সময় বিচারিক হয়রানির পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াৎ রায় ঘোষণা করেন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের একটি সত্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আইসিটি আইনের অধীনে আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে ১০,০০০ টাকা জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩১ দিন বন্দী থাকার পর সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক আজাদ তাঁদের উভয়ের জামিন মনজুর করলে গত ১৫ অক্টোবর ২০২৩ দুজনেই কারাগার থেকে মুক্তি পান।









অধিকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ৫ ও ৬ মে ২০১৩ সালে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায় অধিকার।
পাঠকের মতামত
তখন শুনেছিল কয়েক হাজার এখন ৬১ জন -কোথায় হেফাজত নেতারা এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে রিপের্টারের বিচারের আওতায় আনা হোক।
এত দুঃখজনক ঘটনার পরেও, এতো আলেমকে হত্যা করার পরেও হেফাজতে ইসলাম হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেছে।
We demand punishment of former PM Sheikh Hasina, the then Home Minister, IGP, DG RAB, BAL, BCL, BJL, Indian killers who attended in mass killing of innocent Hafiz, Madrasa students-teachers and general public of Bangladesh
হেফাজতকে হাসিনা কিভাবে মেরেছিল ? আলেম সমাজ কি ভুলে গেছে এগুলো ??
এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে, তবে তারা যে এতটুকু প্রকাশ করতে পেরেছে তার জন্য ধন্যবাদ
আমি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হতে চাই। আমি সেখানে ছিলাম
সংখ্যা টা আমার কাছে অনেক কম মনে হয়েছে
হুকুমদাতা ও হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
২০১৩ সালের ৫ এবং ৬ মে শাপলা চত্তরে, আশে পাশে এবং ঢাকার ভিতরে বিভিন্ন স্থানে খুনি হাসিনা ও তার গুন্ডা বাহীনি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহীনি কতৃক খুন ও গনহত্যা চালানো হয়েছিল তার জন্য জড়িত সবগুলাকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করার জোর দাবী জানাচ্ছি। বিশেষ করে খুনি হাসিনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরে এনে ফাঁসি দিতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামিলীগ নামের এ জঙ্গী, খুনি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়।
Killer n psycho and India dalal Hasina must be punished by international criminal court