অনলাইন
আবদুল হামিদের বাড়ি রক্ষা করলেন ফজলুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবার, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট ফজলুর রহমান তার সংসদীয় আসন কিশোরগঞ্জ-৪ এর তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে পৃথক তিনটি সমাবেশ করেছেন। গত ১০ই আগস্ট ইটনা কলেজ মাঠে, ১১ই আগস্ট মিঠামইন নতুন কাঠবাজার মাঠে এবং ১২ই আগস্ট অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী এবং ছাত্র-জনতার ব্যাপক উপস্থিতিতে তিনটি সমাবেশের প্রত্যেকটিতেই ছিল দ্বিতীয় বিজয়ের উচ্ছ্বাস। হয়ে উঠেছিল পরাধীনতার শিকল ভাঙার পর মুক্ত জীবনের উদযাপনস্থল। সেসব সমাবেশ থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের পরিবারকে দিয়েছেন ক্ষমার বার্তা। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের মিঠামইনের কামালপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ জনতা। কিন্তু ফজলুর রহমানের নির্দেশে তারা নিবৃত্ত হন। এডভোকেট ফজলুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আবদুল হামিদের চক্রান্তের কারণে আমার জীবনের ২৮টি বছর হারিয়ে গেছে। আমাকে আমেরিকায় নির্বাসনে পাঠিয়েছে। আমি আমার সন্তানদের মুখ দেখতে পারিনি।
ফজলুর রহমান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন নেতা তাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্যদের অপকর্ম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। মিঠামইনের সমাবেশে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমার বাবা-ভাইয়ের কবরসহ তিন একর ১৪ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে মাত্র তেইশ শ’ টাকা শতাংশ মূল্য ধরে অধিগ্রহণ করে নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ছোট ভাই অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ‘মিঠামইনের জিন স্যার’ এবং ভাতিজা মিঠামইন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ কামাল ‘মিঠামইনের ফাটাকেষ্ট’ হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, এদের অত্যাচারে মানুষের মুখ খোলার কোনো সুযোগ নেই। জলমহাল, হাওর-বাঁওড়সহ সমস্ত কিছু শরীফ কামালের নিয়ন্ত্রণে। নদীতে মাটি তুলবে তাকে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। হিন্দুরা সাবেক প্রেসিডেন্টের পরিবার দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে উল্লেখ করে অনন্ত দাস নামে এক যুবককে পরিচয় করিয়ে দিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, তার নাম অনন্ত দাস। তার জমি ছিল, কিন্তু সেটি হাতছাড়া হয়ে গেছে। ‘জিন স্যার’ নিয়ে গেছেন। জমি দখল, পুকুর দখল, বিল দখল সবকিছু তারা করেছে। হিন্দু জেলেরা জাল নিয়ে যেতে পারতো না, তাদের জাল ধরে নিয়ে যেতো। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিচার না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করবো।
উনারা কি ক্ষমা পাবার যোগ্য?!
আপনি ক্ষমা করলেও সাধারণ মানুষের বিগত দিনের কষ্টের কথা মনে রাখার দরকার ছিলো।
জনাব ফজলুর রহমান, আপনার ব্যজক্তিগত সম্পদহানি, মান হানি আপনি ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু হাজারো নির্যাতিত, স্বজন হারানো, সম্পদ হারানো মানুষদের পক্ষে আপনি অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন না। স্বৈরাচারের সার্বক্ষনিক দোসর হিসেবে ওনাকে আইনের আওতায় আনতেই হবে। হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের হিসাব ওনার কাছ থেকে পাই টু পাই হিসাব মিলিয়ে নিতে হবে। ১৫/১৭ বছর আগে ওনার যে পরিমান সম্পদ ছিল সে পর্যায়ে ওনাকে নামিয়ে আনতে হবে। এটাই হবে ন্যায্য ও সু-শাসন। নিজে মহামানব সাজতে, নেতা হতে অপরাধ ধামা চাপা দিবেন না। মানুষ এতে আপনাকে লুটেরাদের সাথে গোপন আঁতাতের সন্দেহ করবে।
এটি এখন আর ব্যাক্তিগত পর্যায়ে নেই। আপনার ক্ষতি আপনি ক্ষমা করতে পারে কিন্তু অন্য গরীবরা পারেনা।আপনি ভুল করলেন
ক্ষমায় কোনদিন আওয়ামী লীগ কৃতজ্ঞ হয় না। ওদের সাথে যত উদারতা দেখানো হয় , ওরা ততো পেয়ে বসে।
আপনার ক্ষমা আপনি করতে পারেন । নির্যাতিত জনগন ক্ষমা করবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার।
মানুষকে ক্ষমা করা যায়। এদের কে না।এরা তো মানুষ না।
সত্যি বলতেকি বড় বড় নেতারা এভাবে একে অন্যকে রক্ষা করেন, মাঝখানে জনসাধারণের ঘর পুড়ে, সম্পত্তি লুট হয়, খুন হয় আর দেশছাড়া হয়।
বিজয়ের পর ক্ষমা রাসুল (সা.) এর সুন্নত বলে আপনার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।
আপনি ভালো মানুষ
এদেরকে ক্ষমা করা মানে জাতির সাথে বেইমানি করা।
আব্দুল হামিদরা ক্ষমার মূল্য বোঝেনা, বুঝবেওনা কোনোদিন।
ইটনা মিঠামইন অলওয়দার সড়কটি ভেঙে দিতে হবে দ
ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষন
Thanks
আপনি ক্ষমা করেছেন। মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন। আব্দুল হামিদ তার মূল্য বুঝবে কি!