অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২১ অপরাহ্ন
ইসলামী ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকাই এস আলমের পকেটে-এটি দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, মাত্র বছর দশেক আগেও দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আইনকানুন পরিপালন, গ্রাহককে সেবা দেওয়া ও আর্থিক সূচকে অন্য সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এই ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থার কারণে স্থানীয় আমানত কিংবা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে এটি সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ব্যাংকটির আকার এতটাই বড় হয়ে উঠেছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হতো-ইসলামী ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়লে পুরো খাতে ‘পদ্ধতিগত ঝুঁকি’ তৈরি হবে, যা রোধ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ওই বছর সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ। এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি।
টেলিফোনে আড়িপাতা সংস্থা এনটিএমসির গর্হিত কাজ বন্ধ হবে কি-এটি বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা, পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা করার জন্য ২০১৩ সালে জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) যাত্রা শুরু করলেও এতদিন সংস্থাটিকে শুধু সরকারের হয়ে নাগরিকদের ফোনকল ও ইন্টারনেটে বিভিন্ন যোগাযোগ অ্যাপে আড়িপাতা এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও ইন্টারনেট অপারেটর নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনের ভয়েস ও এসএমএস, ল্যান্ডফোন ভয়েস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার- বর্তমানে এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো, স্কাইপি) আড়িপাততে পারে এনটিএমসি। ওয়েবসাইট ব্লগ, ই-মেইলে ইত্যাদি মাধ্যমেও শতভাগ আড়িপাতার সক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির। ভিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর, ভিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টরের মতো নজরদারি যন্ত্র ব্যবহার করে এনটিএমসি।
সংস্থাটির জন্য ইসরায়েলি সাইবার গোয়েন্দা কোম্পানি এনএসও গ্রুপের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যারও ক্রয় করা হয়েছিল। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়। অ্যাপটি একবার কারো মোবাইল ফোনে ইনস্টল করা হলে তা দিয়ে নজরদারি প্রতিষ্ঠান সেই ফোনের মেসেজ, ফটো বা ই-মেইল হস্তগত করতে পারে। একই সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা রেকর্ডের পাশাপাশি গোপনে মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা চালু করতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফাঁস হওয়া কিছু গোপনীয় প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ডিআইজি হারুন-অর-রশিদ, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের দোকানদার অরুণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকের দৈনিক কল মনিটরিং প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
ধর্মীয় পরিচয় নয়, মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার-এটি সংবাদ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। মূলত, ‘ধর্মীয় পরিচয় নয়, বরং মানুষ হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে’ বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। সেখানে তিনি বলেন, “এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হল মূল জিনিস। এখানে পরিবারের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনও প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত হোক।
জ্বালানি তেলের মজুত কমছে আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা- দৈনিক ইত্তেফাকের এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, ডলার সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেল সরবরাহকারীদের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির কাছে বিদেশি কোম্পানিগুলোর পাওনার পরিমাণ ৫০ কোটি ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে আমদানিকৃত পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেলের দাম পরিশোধ না করলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নির্ধারিত সময়ে তেল আমদানি করা যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
অতিরিক্ত বল প্রয়োগকারী পুলিশ কর্মকর্তারা চিহ্নিত- নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার পুলিশ সদস্যদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় অর্ধশতাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এখনো সেটা চূড়ান্ত করা হয়নি। পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেন, ‘পুলিশের পেশাদারিত্ব ধ্বংসের জন্য বিশেষ একটি এলাকা ও রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট কর্মকর্তারাই দায়ী। এরা পুলিশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে বসে পুলিশকে রাজনৈতিক দমন নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। পিআরবিসহ প্রচলিত যাবতীয় বিধি লঙ্ঘন করে তারা সরাসরি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন।
শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেনি যুক্তরাষ্ট্র- এটি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর। এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউজ। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মিত্রদের বার্তা দিয়েছেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের একটি দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল। দ্বীপটি দিতে তিনি রাজি হননি। এরপর তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এই অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া কী?” এর জবাবে পিয়েরে বলেন, “এর সঙ্গে আমাদের কোনো যোগসূত্র নেই। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত—এ ধরনের কোনও প্রতিবেদন কিংবা গুজব পুরোপুরি মিথ্যা। এগুলো সত্য নয়। এটা বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া ছিল। এটা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সরকার ভবিষ্যতে কেমন হবে, সেটা দেশটির মানুষেরই ঠিক করা উচিত। এটাই আমাদের অবস্থান।”
গুমের ঘটনার সুরাহা করতে না পারলে এ দায় থেকে এই সরকার মুক্তি পাবে না-দ্য ডেইলি স্টারের খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন সময় গুম হওয়া কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের কাছে দুর্দশার বিবরণ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, 'এগুলো অবিশ্বাস্য বিষয়। মানুষ মানুষের ক্ষতি এভাবে করতে পারে?' গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় 'মায়ের ডাক'র সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা গড়ে তুলেছেন 'মায়ের ডাক'। তাদের দাবি অনুযায়ী, ৪০০ জনের বেশি গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার এ সংগঠনে যুক্ত রয়েছেন। গুমের কারণে ভুক্তভোগী পরিবারে সদস্যদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, 'এই সরকার আপনারাই বানিয়েছেন। আপনাদের কারণে এ সরকারকে আসতে হয়েছে, আপনারা এই সরকারের জন্মদাত্রী। এই সরকার যদি আপনাদের বিষয়গুলো না দেখে, তাহলে এই সরকারের দরকারটা কী? সরকার যদি এসব বিষয়ে কাজ না করে, তাহলে এই সরকারের সার্থকতা কী? যেভাবেই হোক এসবের সুরাহা করতে হবে, না হলে এ দায় থেকে এই সরকার মুক্তি পাবে না।