অনলাইন
'আমরা যে কোনো মূল্যে সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবো: শাফকাত মুনীর
মানবজমিন ডিজিটাল
(৯ মাস আগে) ৯ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার, ৬:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

'আমরা যে কোনো মূল্যে সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবো। দ্য ওয়্যারে বর্ষীয়ান সাংবাদিক করণ থাপারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানান বাংলাদেশের বিশিষ্ট বৈদেশিক নীতি বিশেষজ্ঞ তথা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো শাফকাত মুনীর। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণকারী মুনীর যোগ করেছেন যে, এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশ সর্বদা গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। একইসঙ্গে মুনীর জানান, 'বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছি এমন জরুরি বার্তা দেয়ার সাথে নয়াদিল্লির নিজের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। নয়াদিল্লিকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে ঢাকায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন সরকারের কাছে পৌঁছাতে গেলে বাস্তবকে ভুলে গেলে চলবে না।” করণ থাপারকে দেয়া ৩০ মিনিটের সাক্ষাত্কারে, শাফকাত মুনীর শেখ হাসিনা সরকারের পতন থেকে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রকৃতি ও চরিত্র সম্পর্কে নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন, ভারত এবং শেখ হাসিনার ভবিষ্যত সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসের কী মনোভাব পোষণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ভবিষ্যত সরকার বা বাংলাদেশের জনমত হাসিনাকে প্রত্যার্পণের সুযোগ দেবে কিনা তাও মাথায় রাখতে হবে। মুনীর এই বিদ্রোহকে “Monsoon Revolution” বা "বর্ষা বিপ্লব" বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে , শেখ হাসিনার পতনের জন্য এই বিদ্রোহের ভূমিকা থাকলেও এটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জামায়াত দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ইসলামী মৌলবাদী শক্তির দ্বারা চালিত কোনো ফ্রন্ট নয়। তিনি আরও বলেন, যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছে, তাতে বিএনপি বা জামায়াতের কোনো সদস্য নেই। একইভাবে, মুনীর স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, শেখ হাসিনার পতনে পাকিস্তানের আইএসআই বা চীন বা অন্য কোনও বিদেশী শক্তির ভূমিকা ছিল এমন দাবি করা ভুল। বিশিষ্ট বৈদেশিক নীতি বিশেষজ্ঞ মুনীর বলেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন, এমনকি এটি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানেও পরিচালিত নয়। তিনি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেন , সেনাপ্রধান নিজেই ড. ইউনূসের অধীনস্থ।
পাঠকের মতামত
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। গত চার দিনে অন্তত ১৫ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার এবং একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। গত চার দিনে অন্তত ১৫ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার এবং একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
সংখ্যালুগু বলতে হিন্দুদের বোঝানো হচ্ছে। হিন্দুদের উপর কোনো আক্রমণ হচ্ছে না। আওয়ামী গুন্ডা-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়ছে। কিন্তু ভোট ডাকাত হাসিনার আমলে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-শিয়া-সাঁওতাল-উর্দুভাষীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। লুট হয়েছে।
এরা এত মাইনরিটি মাইনরিটি করতেসে। নিজেদের দেশে মণিপুরে লাস্ট ১ বছর ধরে কি করুন অবস্থা হয়ে আসে মাইনরিটিদের, সেটার খেয়াল করে না কেন?
৭১রে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ৭৫রের ঘটনার পর বলল, ৭১রে স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিকই কিন্তু মুক্তি পাইনি । আজ মুক্তি পেয়েছি। আজ আমরা মুক্ত। ৮১তে জেনারেল জিয়াকে ব্রাশ ফায়ারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পর জেনারেল এরশাদ বললেন আজ আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এ নতুন বাংলাদেশ আমরা নতুন করে গড়ব। এ বক্তব্য নিয়ে তিনি একটি গানও তৈরী করলেন। “নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা,নতুন করে আজ শপথ নিলাম।” শৈশবে এ গানটি অনেক শুনেছি। ৯১তে যখন ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে জেনারেল এরশাদের পতন হলো তখন আমরা বললাম,দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে,স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে,গনতন্ত্র ফিরে এসছে। মাত্র কয়েক বছর পর ৯৬এ আবার একদলীয় নির্বাচন,গনআন্দোলন, সরকারের পতন। ২০০৬ এ ষড়যন্ত্রের নির্বাচন, গনআন্দোলন, সরকারের পতন। ২০১৩,১৮,২৪ এ বিতর্কিত নির্বাচন,গনআন্দোলন, সরকারের পতন। এখনকার নতুন সরকার নতুন নাম দিলেন বললেন পূন:জন্মের বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা। একটা স্বাধীন দেশকে আমরা আর কতবার স্বাধীন করব,শুধু বাবার তৈরী ঘরে ছেলেরা ভাগা-ভাগী আর মারামারি। নিজেদের মত করে নিজেদের ফরমাইশা ইতিহাস লেখার জন্য। কারন আমরা যতবারই স্বাধীন বলে মনেকরেছি ততবারই পরাধীন হয়েছি। পরিশেষে আমি বলব সমস্যা আমাদের নেতাদের মধ্যে না, সমস্যা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। এখানে কৃষ্ণ গহবর আছে। যেই ঢুকে সেই হারিয়ে যায়। তবে ছাত্রদের কনসেপ্ট ঠিক আছে। আগে রাষ্ট্র মেরামত তারপর নির্বাচন।প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক মত কাজ করলে নেতারা এমনিতেই ঠিক পথে চলবে। ৭১এ দেশ স্বাধীনের পরেও ছাত্রদের মধ্যে এমন স্পিরিট ছিল, কিন্তু পরে সামরিক জেনারেলরা এদের কেনা-বেচা করে ফেলে। এবার যেন এমনটা না হয়। এই কামনাই করি।
এদেশে সংখ্যালঘুরা জামাই আদরে আছে। বরং সংখ্যালঘুদের দ্বারা মুসলমানগণ নির্যাতিত হচ্ছে। পুলিশের প্রদীপ, বিপ্লব, বনজ, কী পরিমাণ নির্যাতন করেছে তা তো একেবারে টাটকা। সংখ্যালঘুরা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে তাও হয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা। বেনজির যে সম্পদ দখল করে পার্ক রিসোর্ট করেছে তা সংখ্যালঘুদের। অথচ বেনজির সংখ্যালঘুদের দেবতা।
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশে শাসক/শোষক/ধর্ষক/দখলদার/খুনী/চোর/ডাকাত প্রভূত নির্যাতকদের দ্বারা যত বাংলাদেশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে , সংখ্যা বিবেচনা করলে দেখবেন ৯৯.৯৫% সংখ্যাগুরু মুসলমান ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। আর সংখ্যালঘুদের ক্ষতির পরিমাণ ০.০৫% । বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বাংলাদেশী ১০% আপনিই বলুন, এদেশে শুধুই কি সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত? তাহলে এত আওয়াজ কেন? সবই ইন্ডিয়ার কাজ। উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখা ।