সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এমএসএফ-এর আহবান

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব ধরনের সহিংসতা থেকে মানুষকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ জানায়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কারের দাবিতে  পর্যায়ক্রমে সৃষ্ট গণ ও অসহযোগ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গত সোমবার দুপুর থেকে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বিজয়োল্লাস শুরু করেন। বিজয়য়োল্লাসের মধ্যেই একশ্রেণীর সুযোগসন্ধানীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে থাকে। ইতিমধ্যে বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও তাঁদের বাসস্থানে অগ্নিসংযোগ, তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং অগ্নিসংযোগ করেছে যা অনাকাঙ্খিত, দু:খজনক, লজ্জাজনক এবং তা  অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করছে। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি থাকা উচিত।

সোমবার বিজয় অর্জিত হওয়ার ঘোষণার পর জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে হামলা ও পুলিশের গুলিতে নয় জেলায় প্রায় ১১২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চলেছে ধ্বংসাত্মক কাজ যা আন্দোলনের অর্জনকে কলুষিত করে তুলেছে। এ ঘটনাগুলোর পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন অবশ্যই অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিত যা নাগরিক জীবনে উৎকন্ঠার সৃষ্টি করছে।

এমএসএফ মনে করে, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও অসাম্প্রদায়িকতা অপরিহার্য। দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের আক্রোশ, প্রতিশোধস্পৃহা ও সংঘাত পরিহার করে দেশের স্বার্থে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থেকে কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শান্তি রক্ষায় যথাযথ দায়িত্ব পালনে তৎপর হওয়ার জন্য এমএসএফ জোর দাবি জানাচ্ছে।