বাংলারজমিন
রাজশাহীতে নামাজে যাওয়ার পথে কলেজ শিক্ষক গ্রেপ্তার, মসজিদে মসজিদে দোয়া
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
৩ আগস্ট ২০২৪, শনিবাররাজশাহীর বাঘায় গোপন বৈঠক করার অভিযোগে জুমার নামাজে যাওয়ার সময় এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার আড়পাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা এবং গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি কামনা করে রাজশাহীর মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। বাঘায় গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের নাম আনোয়ার হোসেন পলাশ। তিনি মনিগ্রাম আদর্শ কলেজের শিক্ষক। বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে তার বাসা। পুলিশ জানায়, সমপ্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর পুলিশের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ সহিংসতার অভিযোগে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। গত ১৮ই জুলাই বাঘা থানার এসআই শাহ নেওয়াজ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও জামায়াত গোপন বৈঠক করছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। এ অভিযোগে একটি মামলা হয়। এ মামলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত আনোয়ার হোসেন পলাশসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বাঘার মনিগ্রাম আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এটা গ্রামের কলেজ। এখানকার কেউ তো আন্দোলনে যায়নি। কোনো শিক্ষক অংশ নিয়েছেন বলেও আমার জানা নেই। শিক্ষক পলাশের সঙ্গে কয়েকদিন থেকে কথা হয়নি। তার বিষয়টিও আমি সঠিক জানি না।
এদিকে, গত বুধবার নগরীর মহিষবাথান এলাকায় পুলিশের গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ির সামনের কাঁচের অংশ ভেঙে ফেলার ঘটনায় আরএমপি’র রাজপাড়া থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাছিয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে বুয়েটের এক শিক্ষার্থীকেও আটক করে থানায় নেয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম আবরার শাহরিয়ার হোসাইন। তিনি বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নেয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা এলে ছেড়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরএমপি’র মতিহার থানা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক আরেক শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছেন শিক্ষকরা। ওই শিক্ষার্থীর নাম আশিকুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’- কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সময় আশিকুরকে রাবি’র প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশ আটক করে। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন সহকারী প্রক্টর, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান থানায় যান। পরে শিক্ষকদের হাতে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে দেয়া হয়।