খেলা
না ফেরার দেশে ‘দ্য গ্রেট ওয়াল’ খ্যাত ক্রিকেট কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক
২ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ভারতের ‘দ্য গ্রেট ওয়াল’ খ্যাত ক্রিকেট কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর বেশ কিছুদিন ভালোই ছিলেন। শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় এই সপ্তাহে বরোদার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই বুধবার মারা যান তিনি।
ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় দলের হয়ে ৪০ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলেন গায়কোয়াড়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের অংশ ছিলেন তিনি। ৭০ টেস্ট ইনিংসে ১৯৮৫ রান করেছেন তিনি। ১৯৮৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলেন ২০১ রানের ইনিংস। টেস্টে এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মন্থরতম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৪৩৬ বলের এই ইনিংসটি খেলার পথে মোট ৬৭১ মিনিট ব্যাট করেন গায়কোয়াড়। পেসারদের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে দক্ষতার জন্য ভক্তদের কাছে ‘দ্য গ্রেট ওয়াল’ নামে পরিচিতি পান তিনি।
১৯৭৬ সালে জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংসও অনেকের কাছে স্মরণীয়। মাইকেল হোল্ডিং, ওয়েন ড্যানিয়েল, রয় ফ্রেডরিকসের মতো পেসারদের বিপক্ষে হেলমেট ছাড়াই ইনিংসটি খেলেন তিনি। তখন বাউন্সার দেওয়ারও সীমাবদ্ধতা ছিল না। শেষে হোল্ডিংয়ের বাউন্সারে তাকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। ওই বাউন্সারে তার কানের পর্দা ফেটে যায়। যেতে হয় অস্ত্রোপচারের টেবিলে। ক্যারিয়ারের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন ভারতের এই সাবেক কোচ। অসুস্থ গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য চলতি মাসের শুরুতে ১ কোটি রুপি দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে এর আগে সংস্থাটির ব্যাপক সমালোচনা হয় সাবেক এই কোচের চিকিৎসার খোঁজ না নেওয়ায়। ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন। নিজের অবসর ভাতাও গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচ ছিলেন গায়কোয়াড়। তার কোচিংয়ে ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলে ভারত। নাইরোবিতে ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারত হার দেখে নিউজিল্যান্ডের কাছে। সেঞ্চুরি করেন ক্রিস কেয়ার্নস। ২০০০-এ বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের সময়ও গায়কোয়াড় ছিলেন ভারতের প্রধান কোচ।