খেলা
অভিষেকে ৭ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়লেন স্কটল্যান্ডের ক্যাসেল
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
বল হাতে ওয়ানডে অভিষেকে ৭ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়লেন স্কটল্যান্ডের চার্লি ক্যাসেল। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লীগ ২-এর ম্যাচে গত সোমবার এমন বিধ্বংসী বোলিং করেন ক্যাসেল। ডান্ডিতে ওমানের বিপক্ষে স্রেফ ৫.৪ ওভার বোলিং করেই তিনি ৭ উইকেট নেন মাত্র ২১ রানে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বোলার অভিষেকে ৭ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের আগের রেকর্ডটি ছিল কাগিসো রাবাদার। ২০১৫ সালে মিরপুরে হ্যাটট্রিকসহ ১৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার। অভিষেকে ৬ উইকেট নেওয়া বোলার আর একজনই। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ২৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস। অভিষেকে ৫ উইকেট আছে আরও ১২ বোলারের। ৭ উইকেট নিয়ে অনন্য নজির গড়া ক্যাসেলের এটি অভিষেক ওয়ানডে ও অভিষেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ তো বটেই, স্বীকৃত ক্রিকেটেই তার প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওমান চার ওভারের মধ্যে হারায় প্রথম দুই উইকেট। ক্যাসেল আক্রমণে আসেন প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে। দ্বাদশ ওভারে অভিজ্ঞ জিসান মাকসুদকে এলবিডব্লিউ করে শুরু চার্লি ক্যাসেলের। পরের বলেই বোল্ড করে দেন আয়ান খানকে। হ্যাটট্রিক বলটিতে কোনো রান হয়নি। পরের বলেই বিদায় নেন খালিদ কাইল। চার বলের মধ্যে ক্যাসেল পেয়ে যান তিন উইকেট। নিজের পরের ওভারে তিনি ফেরান শোয়েব খানকে। পরে মেহরান খানকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করে ফেলেন ৩.১ ওভারেই। থামেননি তিনি সেখানেই। ওপেনিং থেকে এক প্রান্ত আটকে রাখা প্রতিক আথাভেলকে বিদায় করেন তিনি ৩৪ রানে। পরে শেষ ব্যাটসম্যান বিলাল খানকে ফিরিয়ে শিকার সংখ্যায় নিয়ে যান সাতে। এর মাঝে শুধু ওমানের ১০ নম্বরে নামা কালিমউল্লাহর উইকেট নেন গ্যাভিন মেইন। ওমানের ইনিংস শেষ হয় ২১.৪ ওভারে ৯১ রানে। রান তাড়ায় ১৭.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্কটল্যান্ড। ক্যাসেলের এই কীর্তিটি সব মিলিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসের সপ্তম সেরা বোলিং। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চামিন্দা ভাসের ১৯ রানে ৮ উইকেট এখনও তালিকার শীর্ষে । দুইয়ে আছে ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদির ১২ রানে ৭ উইকেট। চার্লি ক্যাসেল সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে অন্তত সাত উইকেট পাওয়া ১৬তম বোলার।