যুক্তরাষ্ট্র পারবে সফল আয়োজন করতে?

এবারের কোপা আমেরিকা আয়োজন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। তবে পুরো আসর জুড়েই অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার খবর প্রচার হয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে। ২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এবারের কোপা আমেরিকার পর বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন নিয়ে তাই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফাইনালে আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ার ম্যাচ শুরু হয় এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর। টিকিট ছাড়া প্রায় ১০ হাজার দর্শক জোর করে মাঠে ঢুকতে চাইলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আবার অনেকে টিকিট থাকলেও মাঠে ঢুকতে পারেননি। এ ছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। এর আগে কোপার সেমিফাইনালে গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। তাদের অভিযোগ ছিল মদ খেয়ে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের স্বজনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারছিল কলম্বিয়ার সমর্থকরা। সবমিলিয়ে পুরো কোপা আমেরিকা জুড়ে অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এর দায় দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক কনমেবলের ওপর চাপায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এমন খোড়া যুক্তি দিয়ে পার পাবে না দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা বাকি খেলার চেয়ে কম। ফুটবল ম্যাচগুলো বেশির ভাগ হয়ে থাকে রাগবি স্টেডিয়ামে। দুই খেলার নিরাপত্তার ধরন আলাদা। এ ছাড়া দুই খেলার দর্শকদের আচরণ, মনোভাবেও পার্থক্য রয়েছে। কোপা আমেরিকায় মাঠ নিয়েও অভিযোগ জানায় দলগুলো। রাগবি খেলা হয় টার্ফে। ফুটবল খেলার জন্য ওই টার্ফে ঘাস বসিয়ে প্রস্তুত করা হয় মাঠ। যেখানে প্রত্যেক দলেরই খেলতে সমস্যা হয়েছে। যদিও ফিফা দাবি করছে বিশ্বকাপের আগেই সব মাঠ ফুটবল খেলার জন্য প্রস্তুত করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার প্রশ্নে নিউজার্সির গভর্নর ফিল মার্ফি বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমি সবাইকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি, ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ শতভাগ নিরাপদ ও সফলতার সঙ্গে আয়োজন করা হবে।’
যদিও শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার। কারণ এর আগে কোপা আমেরিকায় দেশটির অব্যবস্থাপনা নিয়েই অংশ নেয়া প্র্যত্যেক দেশই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। বিশ্বকাপে এটা কতোটা কাটিয়ে উঠতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।