অনলাইন
আগামীকাল সন্ধ্যায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
১ ঘণ্টার অবরোধের পর শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৯ মাস আগে) ১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৬:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সোয়া পাঁচটায় মিছিল শেষে আন্দোলনের মূলকেন্দ্র হয়ে উঠা এই মোড়ে অবস্থান নেন ' বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের' ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে রাজপথ ছাড়েন আন্দোলনকারীরা।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থাকলেও গতকালের মত তাদের কোন ধরনের তৎপরতা চোখে পড়েনি। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ ও এর আশেপাশের সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
সেখানে তারা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্রসমাজ জেগেছে’, —ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত রাখতে কর্মসূচিতে বক্তব্যও রাখেন অনেকে।
পরে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ এক সাংবাদিককে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা এই হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
বাকের বলেন, আমরা আগামীকাল শনিবার সারাদেশের আন্দোলন সমন্বয়কদের সঙ্গে অনলাইন, অফলাইনে বৈঠক করে সমন্বয় করবো। পাশাপাশি গণসংযোগ চলমান থাকবে। কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই শেষ হয় অবরোধ কর্মসূচি। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির দিকে এগিয়ে যান।
উল্লেখ্য, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গত ১লা জুলাই থেকে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তিনদিন আধাবেলা ব্লকেডের পাশাপাশি গত বুধবার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিও পালন করেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার এই কোটার সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বাধা ও হামলা’র সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন তারা।