অনলাইন
আদালতের দরজা সবসময় খোলা, কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি
অনলাইন ডেস্ক
(৮ মাস আগে) ১১ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা। যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের যে কোনোও সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন- আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেটা গুরুত্বসহকারে শুনব।
এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। এদিকে আপিল বিভাগের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা কোনো ‘ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানব না’।
প্রসঙ্গত, গত ৪ঠা জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাপদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেদিন আপিল বিভাগ রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি করেননি, ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর রিটের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পাঠকের মতামত
একজন বিচারপতি তার আওতা বহির্ভুত বিষয়ে কী কোনো বক্তব্য রাখতে পারেন?
দাবি একটা কোঠা বাতিল করতে হবে,,, জনগণের সুবিধার্থে আইন তৈরী করতে হবে আবার ভাঙতেই হবে ,,,, বর্তমানে শিক্ষিত চোর বাটপার দেশ টা ভরে গেছে
আমি বুঝলাম না, উনি একজন প্রধান বিচারপতি, উনি থাকবে নিরপেক্ষ। ছাত্ররা তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে, আর তাছাড়া এটা জাতির ভবিষ্যতের জন্য উজ্জ্বল কারণ মেধা ছাড়া কোন দেশ জাতি উন্নতি করতে পারে না। মেধাকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ণ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি সাহেব যে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন তাও তো উনি মেধা দিয়েই হয়েছেন। তাহলে অন্যদের বেলায় মেধাকে এত অবহেলা কেন? আমি আমার মেধাকে যেমন মূল্যায়ণ করি ঠিক অন্যদের মেধাকেও যথার্থ মূল্যায়ণ করতে হবে, আর এটাই ন্যায়বিচার।।
এই আন্দোলন নিয়ে আপনাদের এতো টেনশন কেনো?
উনি কি ছান ?? একবার বলেন আন্দোলন করে কি আদালতের রায় বদলানো যায় ? আবার বলেন আদলতে গেলে উনি শুনবেন ? কিরে ভাই দেশে কত মামলা জুলছে কত মানুষ বিনা বিছারে জেল খাটছে দয়া করে এইগুলি শুনেন। রাস্তায় আন্দোলন করছে চাত্র রা উনি আদালতে বসে এত মনোযোগ কেন দিচ্ছেন এই দিকে ???
সরকার আদালতের উপর ভর করে কোটা দাবি নিষ্পত্তি করতে চায় যা কোনভাবে কাম্য নয়।
you have said that nothing as like quota movement