ভারত
হাথরাসে মর্গে লাশের পাহাড় দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পুলিশ কর্মীর
মানবজমিন ডিজিটাল
(১০ মাস আগে) ৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ৫:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

উত্তরপ্রদেশের হাথরাস যেন মৃত্যুপুরী। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পথপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর অনুষ্ঠানস্থলে চারিদিকে শুধু পড়েছিল নিথর দেহ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে পৌঁছায় পুলিশ। আর সেই উদ্ধারকাজ করতে গিয়েই আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। মৃত্যুর স্তূপ দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর।
চারপাশে তীব্র শোক, স্বজনহারাদের কান্নার রোল। নিয়তির এই নির্মম পরিহাস কতক্ষণ মেনে নেওয়া যায়! পুলিশও তো রক্তমাংসের মানুষ। হঠাৎই মাথা ঘুরে পড়ে যান কনেস্টবল রবি কুমার। অসুস্থ হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি। যাদবের সহকর্মী ললিত চৌধুরী বলেন, ‘হাথরসে এতগুলি মৃতদেহ একসঙ্গে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন যাদব। আমরা যখন মৃতদেহগুলি জড়ো করার কাজ করছিলাম। তখন হঠাৎই মাটিতে পড়ে যান যাদব। আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এতগুলি মৃতদেহ একসঙ্গে দেখার ফলে আঘাত সইতে পারেননি যাদব। তার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে যাদবের পরিবারে। ১০ বছরের কর্মজীবনে রবি নিজেও বহুবার বহু মৃত্যু দেখেছেন, রক্তপাত দেখেছেন। কিন্তু নিজের কর্তব্য থেকে বিরত থাকেননি। কিন্তু হাথরসের এই দৃশ্য দেখে হয়তো নিজেকে সামলাতে পারেননি। তাঁর মনে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলেছিল। জানা গিয়েছে, ইটাহ জেলার আওয়াগড় থানায় কনস্টেবল ছিলেন রবি। তবে তিনি এক মাস ধরে কিওয়ারটিতে কাজ করছিলেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে এফআইআর। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির নাম নেই! রয়েছে তাঁর ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া