অনলাইন
'আমার আত্মসম্মান নিয়ে যিনি প্রশ্ন তোলেন তাঁকে পরিণতি ভুগতে হবে'
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য, কলকাতা থেকে
(২ দিন আগে) ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/116752_an.webp)
রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত চলছিলই । ক্রমে তা আরো খারাপ দিকে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনে এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই দুটি ঘটনায় এফআইআর হয় থানায়। তারপর থেকেই রাজ্যপালের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে, এমন কোনও মন্তব্য যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে তাঁর পরিণতি ভুগতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তিনি বলেন, “তিনি আমার প্রশাসনিক সহকর্মী। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে দোষী।” বিষয়টা এখানেই থেমে নেই। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠকে বলেছিলেন, বাংলার নারীরা রাজভবনে যেতে নিরাপদবোধ করছেন না। আসলে রাজভবনে যা সব হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রথমে চোপড়ায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। জানা যায়, মাথাভাঙার নির্যাতিতাকেও সেখানে ডেকে নেওয়া হবে। কিন্তু পরে কর্মসূচিতে বদল হয়। শিলিগুড়ি সার্কিট হাউজেই মাথাভাঙার নির্যাতিতাকে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। চোপড়ার নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর দেখা করা হয়নি। তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শিলিগুড়ি থেকে তিনি দিল্লি রওনা দেন। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “যে সমাজ নারীদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না।” রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “সরকার সমর্থিত হিংসা চলছে রাজ্যে। এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”