খেলোয়াড় হিসেবে ট্রফি জয়ের মতো ভাগ্যবান ছিলাম না কোচ হয়ে জিতলাম: দ্রাবিড়

খেলোয়াড় হিসেবে কোনো বিশ্বকাপ জিততে পারেননি রাহুল দ্রাবিড়। আক্ষেপ শেষ হলো কোচ হিসেবে। যদিও ‘ডু ইট ফর দ্রাবিড়’ নামের একটি ক্যাম্পেইনে বিরক্ত হয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা দ্রাবিড়কে এনে দিলেন বিশ্বকাপ। ক্রিকেটার হিসেবে না হলেও কোচ হয়ে দ্রাবিড় পেলেন বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ।
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার পর দ্রাবিড় বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি ট্রফি জেতার জন্য যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম না। তবে সবসময় আমার সেরাটা দিয়েছি। যাই হোক, এটা খেলার অংশ। আমি আরও অনেক খেলোয়াড়কে চিনি, যারা একটিও ট্রফি জেতেননি। শেষপর্যন্ত আমি কোচ হয়ে জিতলাম।’ উড়ন্ত ফর্মের ভারত ২০০৩’র ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ওই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন দ্রাবিড়।

২০১৮ সালে কোচ দ্রাবিড়ের অধীনেই ভারত জিতেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে সফলতার মুখ দেখলেও বিশ্বকাপ ট্রফিটা অধরাই থাকছিল। বিদায়বেলায় এসে শেষটা গৌরবময় অর্জনে রাঙালেন দ্রাবিড়।

দ্রাবিড় বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান। একটা দলের কোচ হওয়ার সুযোগ আমাকে দেয়া হয়েছিল। এই ছেলেরা দল হিসেবে আমার এই ট্রফি জেতা সম্ভব করেছে। এটা দুর্দান্ত এক অনুভূতি। তবে কোনকিছু থেকে নিষ্কৃতি চাইনি। কেবল নিজের কাজটা আমি করেছিলাম।’
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ক্ল্যাসিক ব্যাটিংয়ের জন্য ‘দ্য ওয়াল’ নামে খ্যাতি পেয়েছিলেন। অবসরের পর কোচ হিসেবে জাত চেনাতে থাকেন। দ্রাবিড় কোচ থাকাকালীন ভারত দু’বার খেলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ঘরের মাটিতে টানা ৯ ম্যাচ জিতে খেলেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা দলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আশাভঙ্গের বেদনায় পুড়লেও এবার পুনরাবৃত্তি হয়নি।
দ্রাবিড় ২০২১ সালের জুলাইয়ে চার বছরের চুক্তিতে জাতীয় দলের কোচ হন। গতবছর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে বিসিসিআই তা আলোচনা সাপেক্ষে নবায়ন করে। চলতি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একবছরের জন্য হয়েছিল চুক্তি নবায়ন।