খেলা
কস্তার বীরত্বে শেষ আটে পর্তুগাল রোনালদোর সঙ্গী বিব্রতকর রেকর্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার![mzamin](uploads/news/main/116800_kostar.webp)
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো গোল এলো না, তৈরি হলো না পরিষ্কার কোনো সুযোগও। অতিরিক্ত সময়ে যখন পেনাল্টি পেলো তখন জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পর্তুগাল। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শট ঠেকিয়ে দিলেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান অবলাক।
এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো। যদিও পরবর্তীতে টাইব্রেকারে গোলরক্ষক কস্তার বীরত্বে ম্যাচ জিতে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল, তবে রোনালদোর কান্না নিয়ে আলোচনা চলছেই।
মঙ্গলবার ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে স্লোভেনিয়ার-পর্তুগাল ম্যাচ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও থাকে গোল শূন্য। এরপর টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে জিতে শেষ আটে ওঠেন রোনালদোরা। পেনাল্টি শুটআউটে তিন শট ঠেকিয়ে রেকর্ড গড়েন পোর্তোর ২৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক কস্তা। ইউরো ইতিহাসে টাইব্রেকারে ৩টি শট ঠেকানো প্রথম গোলরক্ষক তিনি। এ ছাড়া শুটআউটে কোনো গোল হজম না করা প্রথম গোলরক্ষকও তিনি। মূল ম্যাচের (২) চেয়ে টাইব্রেকারের বেশি শট ঠেকিয়েছেন কস্তা।
এদিন ম্যাচের ১১৫তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি রোনালদো। প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এই প্রথম কোনো ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
ম্যাচের পর পর্তুগিজ গণমাধ্যমকে রোনালদো জানান, এটিই তার শেষ ইউরো।
যদিও টাইব্রেকারে শেষ পর্যন্ত পর্তুগাল জিতে হাসি ফোটাতে পেরেছে রোনালদোর মুখে। টাইব্রেকারে প্রথম শটটা রোনালদোই নেন। সেটি থেকে অবশ্য গোল করেন। পর্তুগাল জিতেছে অবশ্য গোলকিপার দিয়োগো কস্তার দৃঢ়তায়। টাইব্রেকারে সেøাভেনিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।
ম্যাচ শেষে রোনালদো গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মানসিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষেরও খারাপ দিন আসে। দল যখন আমার কাছ থেকে কিছু চাচ্ছে, তখন আমি পতনের তলানিতে। প্রথমে কষ্টের কান্না, এরপর আনন্দের। একই ম্যাচে আমার দুই অনুভূতি হলো, আনন্দ ও দুঃখ। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দটা উপভোগ করা। সতীর্থরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়েছি। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। কারণ আমরা পুরো ম্যাচেই ভালো খেলেছি।’
এবারের ইউরোটা দুঃস্বপ্নের মতোই কাটছে রোনালদোর। চলতি ইউরোতে এখন পর্যন্ত গোলের জন্য ২০টি শট করেছেন তিনি, কিন্তু জালের দেখা পাননি। ১৯৮০ সাল থেকে ইউরোর এক আসরে তার চেয়ে বেশি শট করে গোল না পাওয়ার রেকর্ড আছে ৪ জনের। ২০০৪ সালে রোনালদোর স্বদেশি ডেকো ২৪ শট করেও গোল করতে পারেননি।
সেøাভেনিয়ার বিপক্ষে ৪টি ফ্রি কিক নিয়ে একটিও জালে জড়াতে পারেননি রোনালদো। ইউরো ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মোট ৩৩টি সরাসরি ফ্রি কিকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে অবশ্য বড় পরীক্ষাই দিতে হবে। তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। যদিও ফরাসিদের বিপক্ষে পর্তুগালের সুখস্মৃতি আছে। ২০১৬ ইউরোতে ফাইনালে এই ফ্রান্সকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল রোনালদোরা।