‘আমি জানতাম পা দড়ি স্পর্শ করেনি’

গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণও মেলাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। পুরো আসর ব্যর্থ থেকে ফাইনালে জ্বলে ওঠে বিরাট কোহলি। তবে ফাইনালের মঞ্চে নানা গল্প ছাপিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শেষ ওভারের একটি ক্যাচ। 
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম বলটাই ছিল ফুলটস, সেটা সজোরে হাঁকান ডেভিড মিলার। শুরুতে ছক্কা মনে হলেও সীমানাদড়ির উপর থেকে ছোঁ মেরে ক্যাচ নেন সূর্যকুমার যাদব। অনেকের মতে ওই ক্যাচটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। কারণ ওটা ছয় হলে ৫ বলে লাগতো ১০। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানো মিলার তখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতেন। তবে এই ক্যাচ নিয়ে চলছে বিতর্ক।

শুরুতে মাঠের আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তাই সেটা পাঠানো হয় টিভি আম্পায়ারের কাছে। টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার ক্যাচটিকে বৈধ ঘোষণা করেন রিচার্ড কেটেলবরো। তবে অনেকেই মনে করছেন, সূর্যকুমারের পা লেগে গিয়েছিল বাউন্ডারির দড়িতে। যদিও ওই ক্যাচ ধরা সূর্যকুমার দাবি করেছেন তিনি জানতেন তার পা বাউন্ডারি দড়ি স্পর্শ করেনি। ভারতের পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘রোহিত ভাই সাধারণত লং-অনে ফিল্ডিং করেন না। কিন্তু সেই সময় তিনি সেখানে ছিলেন। তাই বলটি যখন আসছিল আমি এক সেকেন্ডের জন্য তার দিকে তাকাই, তিনিও আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। আমি দৌড়াতে শুরু করি, লক্ষ্য ছিল ক্যাচটি নেয়া। তিনি (রোহিত) কাছে থাকলে, বল তার দিকে ছুড়ে দিতাম। কিন্তু তিনি কাছাকাছি ছিলেন না। এরপর ৪ বা ৫ সেকেন্ডে যা ঘটেছে, আমি সেটা ব্যাখ্যা করতে পারবো না।’ পা কি বিজ্ঞাপনের কুশনে লেগেছিল? টিভি রিপ্লেতে এটা অতটা স্পষ্ট হয়নি। এ নিয়ে সূর্যকুমার বলেন, ‘আমি যখন বলটি মাঠের ভেতরে ঠেলে দিই এবং ক্যাচটি নেই, আমি জানতাম আমার পা দড়ি স্পর্শ করেনি। আমি শুধু একটা জিনিস নিয়েই সতর্ক ছিলাম, পা যেন দড়িতে না লাগে। আমি জানতাম, এটা সঠিক ক্যাচ।’ সূর্যকুমার আরও বলেন, ‘যেকোনো কিছুই ঘটতে পারতো। বলটি যদি ৬ হয়ে যেতো, সমীকরণটি ৫ বলে ১০ রানে দাঁড়াতো। এরপরও হয়তো আমরা জিততাম। কিন্তু জয়ের ব্যবধানটা কম হতে পারতো।’