খেলা
৩৪ বলেই জিতলো অস্ট্রেলিয়া তবু এটি রেকর্ড নয়!
স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ যখন চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করলেন, তখনও পাওয়ার প্লেই শেষ হয়নি। অ্যাডাম জাম্পা-মার্কাস স্টয়নিসদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নামিবিয়াকে অল্পতেই গুঁড়িয়ে দেয় অজিরা। এরপর মাত্র ৩৪ বলেই জয় নিশ্চিত করে ২০২১ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। তবু এটি রেকর্ড নয়!
বুধবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়ামে নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। নামিবিয়ার ৭২ রান মাত্র ৫.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় তারা। ইনিংসে তখনও বাকি ৮৬টি বৈধ ডেলিভারি!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি বল বাকি থাকতে জয়ের নজির আছে আর একটি। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯০ বল বাকি রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ের নায়ক জাম্পা। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এদিন দেশের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট পূর্ণ করেন ৩২ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
রান তাড়ায় একদমই সময় নেননি ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন ওয়ার্নার। পরের ওভারে ডেভিড ভিসাকে দুই চারের পর মারেন ছক্কা। তবে পরের বলেই তাকে ফিরিয়ে দেন ভিসা। ৮ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি হেড ও মার্শ। মাত্র ২৪ বলে ৫৩ রানের অবিছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে ফেরেন তারা দুজন। ৫ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৪ রান করেন হেড। ৩ চার ও ১ ছক্কায় মার্শের সংগ্রহ ৯ বলে ১৮ রান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরু থেকেই নামিবিয়াকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ছয় ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ১৭ রান তোলে নামিবিয়া। পাওয়ার প্লেতে দুই দলের ব্যবধান ৫৭ রানের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের পাওয়ার প্লেতে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধান। ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের ২ উইকেটে ২৭ রানের বিপরীতে নামিবিয়া করেছিল ২ উইকেটে ৮২ রান। এত দিন এটিই (৫৫) ছিল রেকর্ড।
দশ ওভার শেষে নামিবিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৭ রান। বিশ্বকাপে প্রথম দশ ওভারে এর চেয়ে কম রানের ঘটনা আছে আর একটি। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের মাঝপথে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৬ রান।
সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। প্রথম ১৬ বল থেকে কোনো রান অবশ্য নিতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টিতে রানের খাতা খোলার জন্য এত বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি আর কোনো ব্যাটারকে। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫ বল পর প্রথম রান নিয়েছিলেন কেনিয়ার তন্ময় মিশ্রা।
পরে জ্যাম্পার ছোবলে ৪৩ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে নামিবিয়া। নিজের স্পেলের শেষ বলে বের্নার্ড শুলজকে বোল্ড করে একশ উইকেট পূর্ণ করেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ বলে ৩৬ রান করেন এরাসমাস। তবু টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর অবশ্য এড়াতে পারেনি নামিবিয়া। এর আগে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রানে থেমেছিল তারা। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ডও এটি। ২০২১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৭৩ রানে অলআউট করেছিল তারা।