দেশ বিদেশ
প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার জের
কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয় প্রেমিক সিয়াম ও সঙ্গীরা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
৩ জুন ২০২৪, সোমবারনিখোঁজের একদিন পর হাত-পা, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় কলেজপড়ুয়া এক কিশোরীকে ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী জানান, প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করায় প্রেমিক সিয়াম ও তার সঙ্গীরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ব্রিজের নিচে ফেলে গেছে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুলিশ ও স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করলেও পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত শনিবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্ত সিয়াম প্যাদা (১৯) ডামুড্যা উপজেলার সিঁদুলকুড়া ইউনিয়নের ছোট সিঁদুলকুড়া গ্রামের খোদা বক্স প্যাদার ছেলে। সে গোসাইরহাটের সরকারি শামসুর রহমান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাটের সরকারি শামসুর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম প্যাদার সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর। প্রায় ২০ দিন আগে ব্যক্তিগত একটি বিষয়ের কথা- কাটাকাটির জেরে তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার ওই কিশোরী কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডামুড্যার ফরাজি টেক নামক স্থান থেকে সিয়াম ও তার ৪ জন সঙ্গী তাকে জোরপূর্বক হাত-মুখ বেঁধে অজ্ঞান করে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদিকে ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকে। পরে তারা বিষয়টি ডামুড্যা থানা পুলিশকে জানায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করায় কলেজ থেকে ফেরার পথে সিয়াম ও তার সঙ্গে থাকা চারজন ব্যক্তি হাত-মুখ বেঁধে অজ্ঞান করে আমাকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। এরপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তারা আমার হাত-পাতা, মুখ চোখ বেঁধে ব্রিজের উপর ফেলে রেখে যায়। ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবো। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ করে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য সিয়াম প্যাদার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ডামুড্যা থানার ওসি এমারত হোসেন বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরীকে সিঁদুলকুড়া ব্রিজের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তবে অভিযোগটি নথিভুক্ত করার আগেই আমরা জানতে পেরেছি কিশোরীকে ব্রিজের উপর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।