দেশ বিদেশ
এমপি নিজাম হাজারী বললেন ইফাত মতিউরের সন্তান
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুন ২০২৪, শুক্রবারপনেরো লাখ টাকায় কোরবানির ছাগল কিনে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের যুবক। নেট দুনিয়ায় আলোচনা হয় তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টম্স, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনাল প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানের ছেলে। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর মতিউর রহমান দাবি করেন ইফাত তার সন্তান নন। এমনকি এ নামের কাউকে তিনি চিনেনও না। তবে তার এ বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে নতুন তথ্য দিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা। নিজাম হাজারী বলেন, ‘ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে মতিউর রহমানের বক্তব্য জানতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপেও তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ইফাতের ছাগল কেনার গল্প যখন ফেসবুকে হইচই ফেলেছে ঠিক তখনই মতিউর রহমানের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার গাড়ি বিলাসিতার ছবিও সামনে চলে আসে। মতিউর রহমানের প্রথম পক্ষের সন্তান ইপ্সিতা থাকেন কানাডায়। সেখানে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া মতিউর রহমান ইফাতকে নিজের সন্তান হিসেবে অস্বীকার করলেও তার সঙ্গে কিছু পারিবারিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে বলা হচ্ছে ইফাত মতিউর রহমানেরই সন্তান। উল্লেখ করা যায় যে, ঈদের আগে রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন মুশফিকুর রহমান ইফাত। কোরবানির জন্য ছাগলটি নিতে এক লাখ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ায় তিনি আর ছাগলটি নিতে যাননি। এরপর তার বাবার পরিচয় নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে মতিউর রহমান দাবি করেন ইফাত তার সন্তান নন।
মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ: রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে আবারো অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্প্রতি জমা পড়েছে সেই অভিযোগ। এতে বলা হয়, ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের রাজস্ব ফাঁকির ব্যবস্থা করিয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মতিউর রহমান। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তবে বেশির ভাগ সম্পদই তার ছেলে ও স্ত্রীর নামে গড়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে মতিউর রহমান অবশ্য এ পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স করা মতিউর রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় পল্লী কর্ম সংস্থান ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ)। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপক পদ থেকেই ১৯৯৩ সালের ১লা এপ্রিল যোগ দেন কাস্টম্স বিভাগে। ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে কমিশনার হন।
ড. মতিউর রহমান ঢাবিতে কী বিষয় নিয়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন, সেই তথ্য যে পত্রিকা ঠিকমত লিখতে পারে না, তাদের রিপোর্টে কীভাবে আস্থা আনা যায়?!!
এ্যাকশন কে নিবে? দুদক নাকি সরকার ? সবই তো প্রায় লেজে গোবরে অবস্থা। সবাই মনে করে আমি না বাঁচালে কি অবস্থা হতো। সিনিয়র এক লিডার বলেন অভিযোগ তেমন নাই-----। যে যার কারছে কামাচ্ছে। হে মাবুদ দেশটা কে রক্ষা করো। তুমি ছাড়া ন্যায় বিচার এদেশে পাবার কোন আশা করা বাতুলতা মাত্র।
ইয়ে কিয়া হুয়া !!! সবকা চোরি গলা পর্যন্ত আ গ্যায়া অওর গামছা ভি খুলনে লাগা !!!!
একের পর এক চমকপ্রদ নিউজ কিন্তু একশন নেই।
ইয়ে কিয়া হুয়া হে!!! দুর্নীতি গলাত পর্যন্ত আ গেয়া!!!