রাফায় শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলাকে 'দুঃখজনক ভুল' বললেন নেতানিয়াহু

রাফার তাল আস-সুলতান শহরে অবস্থিত একটি তাঁবুতে সম্প্রতি হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এর আগে জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটির বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হন। যুদ্ধবিধ্বস্ত প্যালেস্টাইনের আশ্রয় শিবিরে হামলায় সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতনিয়াহুর দাবি, রাফার হামলা একটি ‘দুঃখজনক ভুল’। শুরুতে ইসরাইলি সেনা দাবি করেছিল, হামাসের ঘাঁটিতে সফল অভিযানে চালানো হয়েছে। নিকেশ হয়েছে বেশ কয়েক জন হামাস কমান্ডার! তিনি আরও বলেন, অবশ্যই গাজার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফের) কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের সেনাবাহনী সাধারণ নাগরিকদের এই যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে দূরে রাখার, নিরাপদে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল, রাফায় ইসরাইলি মিসাইল হামলায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১২ জন। মৃত্যু হয়েছে বহু শিশুর। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৫। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে হামলার কথা স্বীকারও করে ইসরাইলি সেনা। রাফায় শরণার্থী শিবিরে মিসাইল হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইসরাইলের চরম সমালোচনা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলও এই ঘটনার নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে ইসরাইলকে আইসিজের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে বলেন। চাপের মুখে পড়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি- ‘রাফাহ থেকে আমরা এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছি। তাদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত ভুলটি হয়ে গেছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি।’

রাফাহ, মিশরের সীমান্তে গাজার দক্ষিণের একটি শহর, এক মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস করে সেখানে- গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক- ভূখণ্ডের অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

সূত্র : ইউরো নিউজ