রাজস্থানের পারদ ছুঁলো ৫০ ডিগ্রি, তীব্র তাপদাহে ৬ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমের রাজ্য রাজস্থানের পারদ ছুঁয়ে ফেললো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। তীব্র তাপদাহে গত ২৪ ঘণ্টায় হিটস্ট্রোকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গত ৭২ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। স্বভাবতই, হিট স্ট্রোকের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত মানুষজন।আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এর আগে ২০১৬ সালের ১৯ মে রাজস্থানের ফলোদিতে তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। এবারে সেই রেকর্ডের দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তাপমাত্রা। আগামী সোমবার পর্যন্ত রাজস্থানের ১৩টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। এগুলো হল-আলওয়ার, বারান, কোটা, বারমের, বিকানের, জালোর, চুরু, হনুমানগড়, যোধপুর, পালি, নাগৌর, শ্রীগঙ্গানগর এবং জয়সলমের। দিনের বেলা সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল ৪টার আগে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। গরমের দাপট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই দিন ২৩৭ গিগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। দিল্লিতে বিদ্যুতের চাহিদা ৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছেছে। একই ছবি মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের। কেন্দ্রীয় পানি কমিশন আবার জানিয়েছে, গরমের কারণে দেশের ১৫০টি প্রধান জলাশয়ের জলস্তর তলানিতে ঠেকেছে। এমন জ্বালাপোড়া গরমের জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী মঙ্গলবারের আগে উত্তর পূর্ব ভারতে জ্বালাপোড়া গরম কমার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিসের  মহাপরিচালক এম মহাপাত্র বলছেন, এই চরম তাপ প্রধানত রেকর্ড করা হচ্ছে কারণ বাতাসের দিক পরিবর্তন হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতকে প্রভাবিত করেছে স্থলভাগ থেকে প্রবাহিত খুব শুষ্ক, গরম বাতাস। বায়ুর দিক পরিবর্তন মূলত বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়লে উত্তর-পূর্ব ভারত রবিবার থেকে খানিকটা স্বস্তি পেতে পারে।

একদিকে যখন তীব্র গরমে জ্বলছে রাজস্থান তখন অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে ২৬ মে মধ্যরাতে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস