ভারত
লোকসভা নির্বাচন
ষষ্ঠ দফার ভোটে কেশপুরে তুমুল অশান্তি, জ্বলছে আগুন
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(১০ মাস আগে) ২৫ মে ২০২৪, শনিবার, ১:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন

ভারতের লোকসভা ভোটের ষষ্ঠ দফায় সকাল থেকেই উত্তপ্ত কেশপুর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়! অভিযোগ, তার গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তায় আগুন জ্বেলেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। তারকা প্রার্থীকে শুনতে হয় ‘চোর’ স্লোগান। সকাল থেকেই ময়দানে ছিলেন হিরণ। বেলা বাড়তেই কেশপুরে পৌঁছান তিনি। বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেয়া হচ্ছে না বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক হয়। এরপরই কেশপুরে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তার দিকে তেড়ে যান বাঁশ-লাঠি নিয়ে। তাতে সামিল হন বৃদ্ধ থেকে নারী সকলেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে প্রার্থীর গাড়ি আটকে তোলা হয় গো ব্যাক স্লোগান। বাধ্য হয়ে গাড়ি ঘোরাতে হয় হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে।
ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণের জন্য রাজ্যে রেকর্ডসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছেন নির্বাচন কমিশন। সবমিলিয়ে ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে আটটি কেন্দ্রে। তার পরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী বুথে যাওয়ায় শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এদিকে, বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ উঠতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তারকা প্রার্থী। পুলিশকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি। এর পর কেশপুরের আনন্দপুরেও পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। কনভয়ে অতিরিক্ত গাড়ি থাকার অভিযোগ ওঠে হিরণের বিরুদ্ধে। হিরণের অভিযোগ, ‘কেশপুর, আনন্দপুরের দুই ওসি সারারাত ধরে বম্বিং করেছে, বাড়িতে বাড়িতে ভাঙচুর করছে, কর্মীদের মারধর করেছে। পোলিং এজেন্টদের নিয়ে চলে গিয়েছে। আমি যতটা পারব সারাদিনে করব। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে গেলে একাই লড়তে হবে। বাংলার মানুষ দেখুক। কলকাতায় এসি রুমে বসে যারা বড় বড় কথা বলেন তারা এসে কেশপুরে দেখে যান।’
এই ঘটনায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর আগামী দু'ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট (ATR) তলব করেছে।