দেশ বিদেশ
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০২৪, শুক্রবারজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে এই বিশেষ স্মার্টকার্ড তুলে দেয়া হয়। স্মার্টকার্ডে তিন স্তরের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংগ্রামের মাধ্যমেই একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ ত্যাগ বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে- তা বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয়। দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ চেতনার মূল্যবোধে ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ঝাণ্ডা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সঞ্চারিত করতে হয়। সিইসি বলেন, এই কার্ড হারাবেন না। এটা বীরত্বের একটি স্মারক। হয়তো আপনি থাকবেন না, আপনার কার্ডটা থেকে যাবে।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়মা খান বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনকে। পরিবারের সবাই আমরা জীবন বাজি রেখে দেশ মুক্ত করতে গিয়েছিলাম।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে রাখার জন্য বর্তমান সরকার অনেক কাজ করেছেন। এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্ড দিয়েছে। তারা শুধু সম্মানটুকু পেতে চায়। এটাই তাদের দাবি, এর বেশি না। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাবেদ আলী বলেন, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানিত করার মাধ্যমে কমিশনও সম্মানিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, আপনারা জাতির সূর্য সন্তান। আপনারা বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের অবস্থান করে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, বিলম্ব হলেও আমি আনন্দিত, পরিতৃপ্ত। আপনাদের একটাই লক্ষ্য-দেশের স্বাধীনতা। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আপনারা শতায়ু হন।
এর আগে ২০২২ সালে তৎকালীন নূরুল হুদা কমিশন বিদায়ের আগ মুহূর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করে। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে সেই কার্যক্রম শুরুতেই হোঁচট খায়। এরপর কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দায়িত্বে আসার দুই বছরের মাথায় গত ৭ই মে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেয়ার মাধ্যমে বিশেষ এই স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে।