খেলা
ছক্কার পর ৪ উইকেট
শাইনপুকুরের ‘নায়ক’ রিশাদ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার
মূল ব্যটারদের ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরেন রিশাদ হোসেন। ৪ ছক্কায় খেলেন দারুণ এক ক্যামিও। তবে তাতেও বেশিদূর এগোতে পারলো না শাইনপুকুর। যদিও এরপর বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে রিশাদ হোসেনই দলকে এনে দেন রোমাঞ্চকর এক জয়। গতকাল বিকেএসপি’র ৩ নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) সুপার লীগ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গাজী গ্রুপকে ১৩ রানে হারায় শাইনপুকুর। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। এরপর রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানির ঘূর্ণিতে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। ব্যাট হাতে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রান করার পর বল হাতে রিশাদের শিকার ৪ উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই আনিসুল ইসলামকে হারায় গাজী। পঞ্চাশ পূর্ণ হওয়ার পর আরেক ওপেনার মেহেদি মারুফকেও আউট করেন আরাফাত সানি। তিনে নেমে সহজাত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন নামা হাবিবুর রহমান। প্রথম দুই বলেই হাঁকান বাউন্ডার। এরপর অষ্টম ওভারে দুই চারের পর ছক্কা মারেন পেসার নাহিদ রানাকে। সানিকে টানা দুই বলে মারেন ছক্কা। তাকে থামান রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের দ্বিতীয় ওভারে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন হাবিবুর। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ৪১ রান। এরপর বাকি ব্যাটাররা যোগ দেন আসা যাওয়ার মিছিলে। পরের ওভারেই প্রিতম কুমারকে ফিরিয়ে দেন রিশাদ। এরপর তার একই ধরনের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন মইন খান ও সাব্বির হোসেন শিকদার। ১০০ এর আগে ৬ উইকেট হারানো শাইনপুকুরকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন শেখ পারভেজ রহমান। কিন্তু আরাফাত সানি তাকে থামিয়ে দিলে জয়ের আশা শেষ হয় গাজী গ্রুপের। এরপর চার বলের মধ্যে শেষ ২ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরের জয় নিশ্চিত করেন স্পিনার হাসান মুরাদ। ডিপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৯ ইনিংসে রিশাদের শিকার ২৩ উইকেট। এই ম্যাচ দিয়ে উইকেট শিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠে আসেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তানজিদ হাসান ছাড়া আর শাইনপুকুরের আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। প্রথম সাত ব্যাটারের মধ্যে তানজিদ একাই ছুতে পারেন দুই অঙ্ক। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ বলে ৪২ রান করেন তিনি। একপর্যায়ে অন্যদের ব্যর্থতায় স্রেফ ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাইনপুকুর। এরপর দৃশ্যপটে হাজির হন রিশাদ। হুসনা হাবিবের বলে তিনি মারেন ৩টি ছক্কা। বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়ার বলকেও সোজা পাঠান সীমানার ওপারে। হুসনা হাবিবকে আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন তিনি। তার আগে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রান আসে রিশাদের ব্যাট থেকে ।