অনলাইন
এডিসের লার্ভা পেলে জেল জরিমানার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২২ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ডিএনসিসি’র সকল ওয়ার্ডে মাসব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান শুরু করেছি। মানুষকে সচেতন করছি। তবে আগামী ২৭ এপ্রিল তারিখ থেকে কোনো বাসায় বা অফিসে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল ও জরিমানা করা হবে। সরকারি অফিসেও যদি লার্ভা পাওয়া যায় সে অফিসের যিনি দায়িত্বে আছেন তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, জরিমানা হবে। এমনকি আমার সিটি কর্পোরেশনের কোনো অফিসেও যদি লার্ভা পাওয়া যায় সেই অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার ক্লিয়ার মেসেজ। লার্ভা পেলে মামলা হবে, জেল হবে, জরিমানা হবে এবং জরিমানার টাকার পরিমাণ আরও অনেক বেড়ে যাবে। আমাদেরকে আরো ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর রূপনগর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ডিএনসিসি'র ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছি ঈদের পর থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করবো। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি রয়েছে। তারা সবসময় আমাদের পরামর্শ দেন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করিম। আমাদের কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন এখন থেকেই মাঠে নামতে। তাই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা সচেতন হলে জেল-জরিমানা, মামলার দরকার নাই। তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। এডিস মশা জন্মাতে পারে এমন জায়গাগুলো পরিষ্কার করুন। এডিস মশা কামড় না দিলে ডেঙ্গু হবে না। সচেতন হয়ে নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকেও নিরপদ রাখুন।
ঢাকা-১৪ আসনের এমপি মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে রূপনগর এলাকার বাড়ি মালিক সমিতির সদস্যদের নিয়ে কাজ করছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা জরুরী। শুধু সিটি কর্পোরেশন একার কাজ নয় এটি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামীলীগসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডিএনসিসির মাসব্যাপী এই প্রচারণা অভিযান সফল করবো। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, 'ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর বাসা ও আশেপাশের এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীকে মশা কামড় দেয়ার পরে অন্যকে কামড়ালে ডেঙ্গু হয়। তাই রোগী চিহ্নিত হলে তার আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও সতর্ক থাকা জরুরি। ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার বলেন, আমি সকালে এই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে পরিদর্শন করেছি। একটি বাড়িতে পরিত্যক্ত টায়ারে অসংখ্য লার্ভা পেয়েছি। দেখুন সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা কিন্তু বাড়ির ভিতরে পরিত্যক্ত টায়ার খুঁজে পাবে না। আমাদের নিজেদেরই এসব পরিষ্কার করতে হবে। কোথায় এসব লার্ভার উৎস আছে খুঁজে বের করুন এবং ধ্বংস করুন।
পাঠকের মতামত
খাল, বডোবা বা পাবলিক প্লেস যার ব্যাবস্থাপনায় মেয়র সেখানে লার্ভা পাওয়া গেলে কি মেয়রের শাস্তি হয়? আগে নিজে ঠিক হোন তো সব ঠিক হবে।
ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু আগের কথা বাদ দিলাম বিগত ৫/৬ মাস উত্তরায় যে পরিমান মশা ছিলো তা কল্পনাতিত। এই ৫/৬ মাসে মশা নিধন বা সহ্য সীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রন করতে না পারার কারনে জনগনের যে পরিমান রক্তক্ষরন হয়েছে, ভোগান্তি হয়েছে, অসুখ বিসুখ হয়েছে, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্ব দামের মাঝেও ব্যক্তিগত ভাবে মশা মারার জন্য কয়েল বা অন্যান্য উপকরন এর পিছনে যে ব্যায় হয়েছে তার জবাব কে দিবে?