খেলা
‘উইজডেন’স লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ এক যুগের অপেক্ষার ইতি টানলেন কামিন্স
স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার
ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেনের চোখে ২০২৩ সালের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যে স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক নাম উইজডেন’স লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এক যুগ পর কোনো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এই সম্মান পেলেন। গতকাল ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ২০২৪ সালের সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের দলিল এই অ্যালমানাকের ১৬১তম সংস্করণ এটি। একই দিনে মেয়েদের লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হন ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। গত জানুয়ারিতে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন এই দুজন। ১১ বছর পর কোনো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে এই স্বীকৃতি পেলেন কামিন্স। এর আগে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে লিডিং ক্রিকেটার হয়েছিলেন দলটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক, ২০১২ সালে। আর সর্বশেষ বছর স্বীকৃতিটা পেয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ২০২২ সালসহ যেখানে তিনবারই বর্ষসেরা হয়েছিলেন বেন স্টোকস। ২০২৩ সালের জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর পাঁচ মাসের ব্যবধানে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেই ভারতকে হারিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। দুটি আসরেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করেন প্যাট কামিন্স। গত বছর ইংল্যান্ডে হওয়া অ্যাশেজেও কামিন্স নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। রোমাঞ্চকর সেই সিরিজ ২-২ এ ড্র করে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দেয়া কামিন্স ব্যাট ও বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। কামিন্সকে বর্ষসেরার সম্মান দেয়ার ব্যাখ্যায় উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথ বলেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যে নেতৃত্ব দেয়ার পর প্যাট কামিন্স অ্যাশেজ ধরে রেখেছেন। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টের শেষদিকে নেমে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন কামিন্স। এরপর ভারতে বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৩ সালে তার ৪২ উইকেটের চেয়ে বেশি পাননি আর কোনো পেসার।’ ইংলিশ মেয়েদের অ্যাশেজে ব্রান্টের পারফরম্যান্স তার বর্ষসেরা হতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ওয়ানডে সংস্করণে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন সিভার-ব্রান্ট। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৬ বলে করেন বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরি। এ ছাড়া ‘ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার্স’ও ঘোষণা করেছে উইজডেন। অ্যাশেজের কারণে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদেরই প্রাধান্য পেয়েছেন। একজন ক্রিকেটার জীবনে ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার্সের সম্মান একবারই পান। আর সেটি ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে নারী-পুরুষ মিলিয়েই দেয়া হয়। এবার সেরা পাঁচ ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, উসমান খাজা, অ্যাশ গার্ডনার এবং ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ও মার্ক উড।
টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কারণে উইজডেন ট্রফি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৬৩ রানে করার জন্য এই পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারী ক্রিকেটার হেইলি ম্যাথুস হয়েছেন লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।