দেশ বিদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ধারাবাহিকভাবে কমছে পোশাক রপ্তানি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবারচলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে ধারাবাহিকভাবে কমেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত অর্থবছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ’র তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৩ হাজার ২৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৭৭ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ইইউ’র বাজারে ১ হাজার ৬২৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.২৭ শতাংশ বেশি। যদিও গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে এই বাজারে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছর ইইউতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমেছে।
ইইউ’র মধ্যে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার জার্মানি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে এই বাজারে ৪০৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৬৩ শতাংশ কম।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই বাজারে ৫৪৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৫৮ শতাংশ কম।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৪.৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১.৮১ শতাংশ।
বিজিএমইএ জানায়, নতুন বাজারে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৬৩০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৩ শতাংশ। নতুন বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও ভারতে কমেছে। ভারতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৫৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে ২৩ শতাংশ।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানায়, পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে এখন ২১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। রোববার পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে আরও একটি পোশাক কারখানা। এ নিয়ে দেশের সবুজ কারখানা বেড়ে হলো ২১৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়। নতুন সনদ পাওয়া কারখানাটির নাম এপিএস নিট কম্পোজিট লিমিটেড। গাজীপুরের পূবাইলের কমরগাঁওয়ে অবস্থিত কারখানাটি। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিশ্বের সেরা কিছু কারখানার আবাসস্থল এখন বাংলাদেশে। বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে।
যুক্তরাষ্ট্র দুমুখো বিষধর সাপ । একদিকে গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলে, তলে তলে অস্ত্র ও পরামর্শ দেয় গাজা কে জনশূন্য করার জন্য ।
India is pulling the string.