ঢাকা, ৭ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

ওসমানীর দুর্নীতির মামলা দুদককে তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দি ব্রাদার সাদেকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককে। দুদক আইনের বিভিন্ন ধারায় সিলেট মহানগর জজ ও স্পেশাল সিনিয়র জজ হাবিবুর রহমানের আদালতে ১৬ই এপ্রিল এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গত বৃহস্পতিবার এক আদেশে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কানন আলম জানিয়েছেন, সিলেট দুদকের উপ পরিচালককে মামলাটি তদন্ত করে ১১ই জুনের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১৬ই এপ্রিল আদালতে ভুক্তভোগী ও হাসপাতালের আউটসোর্সিং বিভাগের সাবেক কর্মচারী কামাল বাজার এলাকার ইসলাম উদ্দিন এ মামলার আবেদন করেছিলেন। পরে দাখিল করা এজাহার স্পেশাল পিটিশন মামলা নং-২/২০২৪ নামে নথিভুক্ত হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হাসপাতালে স্টাফ নার্স কারাবন্দি ইসরাইল আলী সাদেক, স্টাফ নার্স কারাবন্দি আমিনুল ইসলাম, স্টাফ নার্স সুমন চন্দ্র দেব, পুলিশ কনস্টেবল জনী চৌধুরী, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবীব, হাসপাতালের কর্মচারী আব্দুল জব্বার ও আব্দুল হাকিম সুমন। মামলায় ১২ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদী ইসলাম উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ ৭ বছর তিনি হাসপাতালের কোম্পানি যমুনা, সানমুন ক্লিনিং এন্ড সিকিউরিটি সার্ভিস এবং আউট সোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে সিলেট পরিছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা সেবামূলক এ হাসপাতালের সংঘবদ্ধ দুর্নীতি চক্রের সক্রিয় সদস্যও।

বিজ্ঞাপন
এই চক্রের সদস্যরা দুর্নীতি করে অবৈধভাবে শ’ শ’ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত ইসরাইল আলী সাদেক, অপর আসামি রওশন হাবিব ও আব্দুল জব্বারের কাছে হাসপাতালের শ’ শ’ কর্মচারী জিম্মি রয়েছে। তারা হাসপাতালের শ’ শ কর্মচারীদের জিম্মি, প্রতারণা, ঘুষ বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে শ’ শ’ কোটি টাকার অবৈধ মালিক হয়েছে। এখনো কর্মচারীদের নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত ৯ই জানুয়ারি ওসমানী হাসপাতালে গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে ঘুষের টাকা লেনদেনের সময় স্টাফ নার্স আমিুনল ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় হাসপাতালের দুর্নীতির হোতা সাদেককে প্রধান আসামি এবং গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুল ও সুমনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ। এ মামলায় সাদেক প্রথমে পলাতক থাকলেও পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। বর্তমানে সাদেক ও আমিনুল কারাগারে রয়েছে।  

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status