শেষের পাতা
যা ঘটেছিল গুলশানের ৩০ নম্বর বাড়িতে
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শনিবার১৫ই ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর গুলশানের ১১১ নম্বর রোডের ৩০ নম্বর বাড়ি। দুপুরের পর হঠাৎ বাড়িটির বাসিন্দা জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মোহম্মদ বদিউজ্জামানের বাসার গৃহকর্মী (১৩)কে কোলে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে নিচে নামেন তার গাড়িচালক। ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সবুজ দৌড়ে গিয়ে দেখেন বাচ্চা মেয়েটি তখনো অচেতন। কোনো কথা বলছে না। তাড়াহুড়ো করে সবুজ ও গাড়ি চালক মেয়েটিকে নিয়ে ছুটলেন পাশেই সাইফুদ্দিন মেডিকেলে। কিন্তু সেখানে ভর্তি করলে অনেক খরচ। তাই সেখান থেকে আবার সজ্ঞাহীন মেয়েটিকে সিএনজিতে করে নেয়া হয় ধানমণ্ডির একটি হাসপাতালে। তখনো সবুজ ঠাওর করতে পারেনি আসলে কী হয়েছে। হাসপাতালে থাকাকালীনও সবুজকে বলা হয়- মেয়েটি দুর্বল হয়ে পড়ে গেছে। তবে বাসায় ফিরে সবুজ জানতে পারেন, ডা. মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যতা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। বাচ্চা মেয়েটির গায়েও হাত দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারায় ওই গৃহকর্মী। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সবুজ বলেন, সেদিন যে ঘটনাটি ঘটেছে তা এত বড় কিছু না। সব বাসাতেই এমন ঘটনা ঘটে। তবে মেয়েটি এখন সুস্থ আছে। তাকে সপ্তাহখানেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর বুধবার তার নানি এসে বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এখন সেখানেই আছে। তবে মেয়েটির বাড়ি কোথায় বা তার বাবার নাম কী সে বিষয়ে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো ফ্ল্যাট। কয়টি বাসার কাজের লোকের মেয়ের নাম মনে রাখবো! বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ম্যাথিউস নামে আরেক নিরাপত্তাকর্মী জানান, ১৫ই ফেব্রুয়ারি দুপুরের পর আমরা দু’জনেই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। হঠাৎ বদিউল স্যারের গাড়িচালক তাদের গৃহকর্মীকে অজ্ঞান অবস্থায় কোলে নিয়ে নিচে এসে আমাদের সিএনজি ডাকতে বলেন।
আমি বিষয়টি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সবুজ ভাই আমাকে বলেন- আগে একটা রিকশা বা সিএনজি ডাক দেন। আমি গেট খুলে দৌড়ে রাস্তায় যাই। সামনেই একটা সিএনজি পাই। ওই সিএনজিতে প্রথমে স্যারের বাসার গাড়িচালক মেয়েটিকে নিয়ে ওঠে। এরপর তিনি সবুজ ভাইকেও সঙ্গে যেতে বলেন। তখন তারা দু’জনে মিলে ওই মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যায়। ‘এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে কি না’-এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুটা অসস্তিতে পড়েন ওই নিরাপত্তাকর্মী। কিছুক্ষণ ভেবে বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। আমি বেশি কিছু জানি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাসার আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ডা. বদিউজ্জামান শান্ত স্বভাবের মানুষ হলেও তার স্ত্রীর মেজাজ চড়া। আর এ কারণেই তার বাসার গৃহকর্মী বেশিদিন টেকে না। কিছু হলেই কাজের লোকের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এর আগেও এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। এবারো খুব বাজেভাবে নির্যাতন করা হয় ১৪/১৫ বছরের ওই গৃহকর্মীকে। যার প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহেও হাসপাতালে থেকে সুস্থ হতে পারেনি মেযেটি। হাসপাতালে থাকাকালীনও এই নির্যাতনের ঘটনা কাউকে যেন বলতে না পারে এজন্য সেখানেও কড়া নজরদারিতে রাখা হয় মেয়েটিকে। আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, ঘটনার দিন থেকে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল।
ওই দিনের পর আর তাকে দেখা যায়নি। এমনকি তাকে কোথায় রাখা হয়েছে, তাকে কোন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কেউ কিছুই জানে না। পুরো বিষয়টিই রহস্যজনক। এখন শুনছি মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকেই তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার তার নানি হাসপাতালে এসে তাকে নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যপক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেন, আমার স্ত্রী মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে ঘটনাটি সত্য নয়। এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ‘তবে কী কারণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে গেল, জ্ঞান হারালো’-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনিতেই অসুস্থ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মেয়েটি বর্তমানে সুস্থ এবং তার বাবার কাছে আছে। তার নানি এসে তাকে নিয়ে গেছে। তবে মেয়েটির নাম, ঠিকানা বা তার গ্রামের বাড়ি, বাবার ফোন নম্বর কিছুই জানা নেই বলে জানান এই খ্যাতিমান চিকিৎসক। ‘তাহলে কীভাবে বা কার মাধ্যমে গুলশানের মতো জায়গায় একটা বাসার কাজে নিয়োগ দেয়া হলো’- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব বিষয় আমার জানা নেই।
এই ডা. সাব ও কি তার বউয়ের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন কখনো নাকি বউয়ের ভয়ে কিছুই বলছেন না?
হার্ট ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ বদিউল বলতে পারে না কেন এমন হয়েছে ? আসলে এসব ছোটলোকগুলো টাকার মালিক হয়ে মানুষত্ব হারিয়ে ফেলে ।
একজন মন্তব্য করলেন এরা ডাক্তার না নরপশু, আসলে এরা নরপশুর চাইতেও অধম।
এদেশে বর্তমান সময়ে ৭৫%পরিবারে নারী কতৃক শারীরিক মানসিক নির্যাতনের পুরুষ।
গায়ে হাত তুলেছেন কে , ডাঃ সাব না কি তার ----- স্ত্রী , আমরা কাকে দোষ দিব, এমন অনেক স্ত্রী আছেন যার কারনে পুরুষগন ভালো হলেও অনেক বদনামের ভাগিদার হতে হয়, অনেক পুরুষ নির্যাতিত হচ্ছে কিন্তু করার বা বলার কিছু্নেই, কারন সবদোষ পুরুষ মানুষের, আইন আছে তাও ”সবদোষ পুরুষ মানুষে ”
"মেয়েটির নাম, ঠিকানা বা তার গ্রামের বাড়ি, বাবার ফোন নম্বর কিছুই জানা নেই বলে জানান এই খ্যাতিমান চিকিৎসক। ‘তাহলে কীভাবে বা কার মাধ্যমে গুলশানের মতো জায়গায় একটা বাসার কাজে নিয়োগ দেয়া হলো’- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব বিষয় আমার জানা নেই।" এ কেমন কথা আশ্চার্য !!! মেয়েটি কি আদৌ জীবিত আছে? আল্লাহই জানেন।
বাসায় কাজের লোকের নাম ঠিকানা এনআইডির কপি সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় জমা দেয়ার নিয়ম করে ছিলো পুলিশ।প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন গণমাধ্যম ও পুলিশের দায়িত্ব। আর পুলিশ বলবে মেয়েটির কোন অভিভাবক অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।
মেয়েটি কি আদৌ বেঁচে আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।
এরা ডাক্তার না এরা নর পশু। নিন্দা ধিক্কার জানানো ছাড়া আমাদের মত সাধারণ মানুষের করার কিছুই নাই। মেয়েটিকে আল্লাহ সুস্থতা দান করুন এবং তার পরিবার কে ধৈর্য্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করুন ।
ডাল মে কুছ কালা হ্যায়! মেয়েটি কি আদৌ বেঁচে আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।