শেষের পাতা
শিশুসাহিত্যের রাজপুত্র ফরিদুর রেজা সাগর
আমীরুল ইসলাম
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার
তার অনেক পরিচয়। তিনি খ্যাতির আকাশে শুকতারা। তিনি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি খ্যাতিমান ব্যবসায়ী। তিনি সফল উপস্থাপক। তিনি ডিজিটাল টেলিভিশনের জনক। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইতিহাস রচয়িতা। তিনি লেখক। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি নাট্যকার। যে পরিচয়েই তিনি সমৃদ্ধ- তার নাম ফরিদুর রেজা সাগর। মা বিখ্যাত লেখক রাবেয়া খাতুন। পিতা বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক এবং এদেশের প্রথম শিশু চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর নির্মাতা ফজলুল হক। পরিবারের সাংস্কৃতিক পটভূমি তার উপর প্রভাব ফেলে। আজ ফরিদুর রেজা সাগরের জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের এদিন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে ফরিদুর রেজা সাগরের যাত্রা ১৯৬৫ থেকে। প্রেসিডেন্ট এর নাম ভূমিকায় অভিনয় ছাড়াও তিনি বেতার টেলিভিশনের নিয়মিত শিশুশিল্পী ছিলেন ছেলেবেলা থেকে। পরে বিটিভিতে তিনি অনুষ্ঠান নির্মাণ, পরিকল্পনা ও গ্রন্থনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। কিশোর বয়স থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে বহুবিচিত্র মানুষের সান্নিধ্যে এসেছেন। উদার দৃষ্টিভঙ্গি তিনি গর্জন করেছেন নানা কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে।
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল চ্যানেল আইয়ের তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে ১০০ টির অধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কারে তিনি সমৃদ্ধ। শ্রেষ্ঠ প্রযোজকের পুরস্কার পেয়েছেন দশবার। বাংলা একাডেমি ও একুশে পদক পেয়েছেন। পুরস্কারের তালিকা অনেক দীর্ঘ। বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবন তার। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে তার। এত সব উচ্চস্তরের কর্ম ও খ্যাতির আড়ালে ফরিদুর রেজা সাগরের একটি বিশিষ্ট পরিচয় লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়। ॥ দুই ॥ সেই পরিচয় হচ্ছে তার লেখক পরিচয়। তিনি দেশের একজন অগ্রগণ্য শিশুসাহিত্যিক। প্রধানত তিনি ছোটদের জন্যই লিখেছেন। এছাড়া স্মৃতিচারণমূলক রচনা, জার্নাল ও ব্যক্তিগত রচনা, ভ্রমণ ও টেলিভিশনের ইতিহাস লিখে তিনি যশস্বী। গভীর জীবনবাদী ও সৃষ্টিশীল লেখক তিনি। ছোটদের জন্য এক স্বপ্নের পৃথিবী তিনি নির্মাণ করতে চান। তাই লেখালেখি করেন ছোটদের জন্য। তার শিশুসাহিত্য ব্যাপক ও বিশাল। প্রায় শতাধিক গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। নানা ধরনের লেখা। গোয়েন্দা, রোমাঞ্চ, বিজ্ঞান, কল্প-কাহিনী, ছোট গল্প, মুক্তিযুদ্ধ, বিচিত্র বিষয়, নাটক, ভ্রমণ, কিশোর উপন্যাস- সকল খানে তার সোনার হাতের স্পর্শ আছে।
ফরিদুর রেজা সাগরের ছোটকাকু আমাদের শিশুসাহিত্যের প্রধানতম রচনা। কোনো একটি চরিত্র নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রায় ৩২টি বই তিনি লিখেছেন। বাংলাদেশে এমন নজির নেই। ওপার বাংলার সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা কিংবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু ধারাবাহিক ভাবে লিখিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এর একটি মাত্র উদাহরণ। ছোটকাকু সিরিজ। এর নির্মাতা ফরিদুর রেজা সাগর। তিনি আমাদের ক্ষীণ শিশুসাহিত্যে জোয়ারের গণ ডেকে এনেছেন। এক ছোটকাকুই আমাদের একঘেঁয়ে ক্লান্তিকর শিশুসাহিত্যকে সাবালক বানিয়ে দিয়েছে। ছোটকাকুর অভিযানগুলো বাংলাদেশ জুড়ে ঘটে থাকে। তার সঙ্গে দুইজন ভাগ্নে-ভাগ্নি থাকে। আর সঙ্গী হিসেবে আছেন শরীফ সিঙ্গাপুরী। কিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করলেই ‘ছোটকাকু’ সিরিজের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। খেলা হলো খুলনায়। রাজশাহীর রসগোল্লা, চুপি-চুপি চট্টগ্রামে, ঢাক বাজলো ঢাকায়, রংপুরের রংধনু, রাতবিরাতে সাতক্ষীরাতে, এবারে সাভারে, নাটক নাটোরে, দিনদুপুরে দিনাজপুরে, লেট করে সিলেটে। এক লাফে টেকনাফে, খালি খালি নোয়াখালী, পাবনার ভাবনা, কক্সবাজারের কাকাতুয়া- এমন সব নাম। বাংলাদেশের জেলাগুলোর নামের সঙ্গে মিলিয়ে বইয়ের নামকরণ। ঘটনাটাও সেই জেলাকে কেন্দ্র করে। একেবারে নতুন ধরনের গোয়েন্দা কাহিনী।
নির্দোষ ও নিষ্পাপ ভাবে বর্ণিত হয়েছে। খুন হত্যা ও ভয়ংকর কিছু নেই। শিশু-কিশোর মানস জগতের ছাপ আছে প্রতিটা লেখায়। ছোটকাকু সিরিজের প্রতিটা বই ৬০ থেকে ৮০ পৃষ্ঠার মধ্যে। কাহিনীতে টানটান উত্তেজনা। ছোটকাকু গম্ভীর মানুষ হলেও শরীফ সিঙ্গাপুরীর মধ্যে বালকোচিত দুষ্টামি আছে। অর্শা আর সীমান্ত তো বাচ্চা ছেলেমেয়ে। এর বাইরে যাদের নিয়ে রহস্য তারা থাকে। পুলিশ থাকে। নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটতে থাকে। ফরিদুর রেজা সাগর হৃদয়ে শিশুর পৃথিবী লালন করেন। শিশুদের অনেক ভালোবাসেন। শিশুদের দুষ্টামি তিনি পছন্দ করেন। তাই তার লেখা হয়ে ওঠে অসম্ভব সৃজনশীল। ছোটকাকুর প্রতিটি গল্পই তাই নতুন ধরনের। এই যে তিনি ফুরিয়ে যান না, কিংবা একঘেঁয়ে আক্রান্ত হন না- এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে সাফল্যের প্রধান শক্তি। ॥ তিন ॥ এর বাইরেও ফরিদুর রেজা সাগর নানা ধরনের বই লিখেছেন। ছোটকাকু যেমন- দেশীয় পটভূমিতে লেখা তেমনই বিদেশের পটভূমিতে লেখা হয়েছে সাহেবদের গল্প। এটিও একটি সিরিজ। কিশোরদের রোমাঞ্চকর উপন্যাস।
ডিকসন সাহেবের ভূত, সিঙ্গাপুরের সিংহলী সাহেব, হংকং এর হাককানী সাহেব, ওয়াং সাহেবের ব্যাং, দুবাইয়ের দুবে সাহেব, হলিউডের হই চই সাহেব কিংবা ভেনিসের ডেনিশ সাহেব। প্রত্যেকটি বই লেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক শহরকে কেন্দ্র করে। বিজ্ঞান কল্প গল্পের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে রোমাঞ্চের রস। বাংলা শিশুসাহিত্যে একেবারেই অভিনব আয়োজন। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প বলার ক্ষমতা অসাধারণ। উদ্ভট কল্পনা, মজার চরিত্র এবং অবাক করা কোনো ঘটনাকে তিনি শিশু-কিশোরদের মনের মতো করে উপস্থাপন করে থাকেন। সহজ ভাষায় সবকিছু বর্ণনা করেন। তার ছোট গল্প রচনায় সেই ক্ষমতা দেখে বিস্মিত হতে হয়। তার প্রথম বই ‘এক বই গল্প’। সবগুলো তৎকালীন খ্যাতিমান পত্রিকায় ছাপা। বিজ্ঞানকে আশ্রয় করে গল্পগুলোর আখ্যান গড়ে উঠেছে। এ ধরনের আরও গল্প তিনি লিখেছেন। মেঘনা ও আশ্চর্য প্রদীপ, বটগাছের মধু-রহস্য, মেঘনা ও পাখি-বন্ধু, কুয়াকাটার মাছ রহস্য, অনতু ও এক্যুইরিয়াম আমি ও আইসক্রিমঅলা, ডলফিস ও একটি মেয়ে প্রথম হাসি, অদল-বদল কতো গল্প। এসব বইকে পিকচার বুক হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। হাশেম খান, রফিকুন নবী, ধ্রুব এষ প্রমুখ এই সব ছবির বইয়ের ছবি এঁকেছেন।
বঙ্গবন্ধু বিষয়ক তিনটা গল্প নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বাংলা-ইংরেজি দু’টি বই। অসাধারণ তিনটি গল্প। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সঙ্গে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ফরিদুর রেজা সাগর গল্প বলতে ভালোবাসেন। যে কোন কিছুকে তিনি গল্পের আদলে দেখে থাকেন। এটা তার দুর্লভ ক্ষমতা। অর্ধেক পুতুল আর সুতোয় বাঁধা জীবন নামে দু’টি বই। অ্যালবাম সাইজের চওড়া বই। খুব সুন্দর মুদ্রণমান। বইটিতে ছোট ছোট সত্যি গল্প আছে। ছোটবেলার স্মৃতি মাখা গল্প। পুতুলের অনেক রঙ থাকে। পুতুলের কখনো বয়স বাড়ে না। আমরা প্রত্যেকেই যেন পুতুল। ছোট করে লেখা জীবনের গল্প। কিছুটা দার্শনিক ভাব আছে এসব লেখায়। আমাদের শিশুসাহিত্যে দু’টি উল্লেখযোগ্য বই। ফরিদুর রেজা সাগর সবসময় নতুন কিছু করার জন্য উদগ্রীব। তিনি ছটফট করেন। স্মৃতিকথা, ভ্রমণ ও যখন লিখেন তখন ভিন্নমাত্রা পায় তার লেখা। তিনি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বলেই হয়তো তার ক্ষুদে পাঠকদের কখনো উপেক্ষা করেননি। তাই সারা জীবন ছোটদের নাটক লিখেছেন। মেঘনা ও গল্প বুড়ো, ছোটদের নাটক, সবগুলো নাটকই একসূত্রে গাঁথা।
নাটকগুলো টিভিতে চিত্রায়িত ও প্রচার হয়েছে। নাটকগুলোতে আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণতা তুলে ধরা হয়েছে। একজন সত্যিকারের শিশুসাহিত্যিকের কর্তব্য ও দায়িত্ব হচ্ছে শিশুদের মানস গঠনে সহায়তা করা। ফরিদুর রেজা সাগর সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে থাকেন। ॥ চার ॥ ফরিদুর রেজা সাগর চেষ্টা করেন- অভিনব কিছু করতে। যেমন পৃথিবীর বড় বড় শহর তিনি ভ্রমণ করেছেন। সকল বয়সীর জন্য আলাদা কিছু লিখেছেন তিনি। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া এবং ভ্রমণ নয়। টুকটাক ঘটনা কিংবা দর্শনীয় ব্যাপার। সেগুলো তুলে ধরেছেন। বইয়ের নামও দিয়েছেন অভিনব। ‘ভ্রমণ নয়’। ভ্রমণের বইয়ের গল্প তিনি লিখেছেন। আরেক ধরনের কিশোর উপন্যাসের ব্যাখ্যা না দিলেই নয়। বলা যেতে পারে ‘সেলিব্রেটি ফটো ইলাস্ট্রেশন সিরিজ। বলা যেতে পারে, তিনি একই সঙ্গে সাহিত্য ও শ্রবণ দর্শন মাধ্যমের মানুষ। উভয় মাধ্যমে তার যে সৃজনশীলতা তারই সমন্বিত রূপ এই বইগুলো। এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই সিরিজের প্রতিটি গল্প গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের সেলিব্রেটিদের নিয়ে।
ইলাস্ট্রেশন করা হয়েছে শিল্পীর তুলির বদলে মডেলদের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।’ আহমাদ মাযহারের বয়ানে বইগুলোর চরিত্র বোঝানো গেল কিনা জানি না। জাদুর কাঠি, বই জার্নি, একটি পোস্ট ভূতের গল্প, ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ভিতলির গান ইত্যাদি। এসব বইয়ে মডেল হিসেবে আছেন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, জুয়েল আইচ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, চিত্রনায়িকা মৌ, নায়ক আফজাল হোসেন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান প্রমুখ। অভিনব এই গল্পগুলোর উপস্থাপন বাংলা শিশুসাহিত্যে একেবারেই নতুন। তিনি ফিচারধর্মী অনেক লেখা লিখেছেন। মোহনার জন্য লেখা বইতে তার কিছু নমুনা আছে। ন্যায় বিচার, রূপকথা নয়- এসব বইতে তার চিহ্ন ছড়িয়ে আছে। ফরিদুর রেজা সাগর অসম্ভব দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু। বাংলা ভাষা নিয়ে তিনি কখনো আপস করেন না। ছোটকাকু সিরিজের মধ্যেই বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ নানাভাবে এসেছে। ‘একাত্তরে ওরা’- তার রচিত একটি অনবদ্য শিশুসাহিত্য।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরেকটি উপন্যাস ‘লাল সবুজের সুর’। এটি চলচ্চিত্র হয়েছে। এ ছাড়াও আছে মুক্তিযুদ্ধের সব লেখা, ক্ষুদে বীর পুরুষ ও অন্যান্য গল্প, অদল-বদল ও বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গল্পে বারবার দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ চিত্রায়িত হয়েছে। কলকাতা থেকেও মুক্তিযুদ্ধের লেখা নিয়ে অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে। একাত্তরের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের গল্প- দু’টি আলোচিত শিশু-কিশোর সাহিত্য। এছাড়াও ফিকশনধর্মী কিছু বইয়ের কথা উল্লেখ করতেই হবে। প্যাট্রিকের গরিলা, মার্কারিম্যান, ইডিপ্লাসের অতিথি, সেতু, লাল বেবিচ্যত্রি, একা একা, পাতাকুড়িয়ার এক ও এক ছোটকাকুর ক্যুইজ দিয়ে যে পাঠকেরা পড়েছে তারা কি ভুলতে পারবে? এছাড়া বৌদ্ধখণ্ড। কিশোর সমগ্র, ছোটকাকুর ছয়টি করে বই নিয়ে রচনাবলী।
২৪টি বই বিশাল আকারের ছোটকাকু কোয়ার্টার সেঞ্চুির, তারপরও হাফডজন ছোটকাকু, গল্পসমগ্র, মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র, সাহেব সমগ্র, সেলিব্রেটি ফটো সমগ্র- অনেক সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে। ॥ পাঁচ ॥ দেশের খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর বইগুলোর প্রকাশনা মানেও বৈচিত্র্য আছে। মুদ্রণ পরিপাটি। ইলাস্ট্রেশন ও প্রচ্ছদ নির্মাণ করেছেন দেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা। ফরিদুর রেজা সাগর বহুপ্রজ লেখক। তিনি দুই হাতে গদ্য লিখেছেন। ছোটদের জন্য লিখতেই তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। ব্যস্ত জীবনের আনন্দ খুঁজে পান শিশুসাহিত্য চর্চায়। সংখ্যা প্রাচুর্যে তার মতো অধিক লেখা লিখেছেন এসব লেখক দু’চারজন। কিন্তু সবিনয়ে বলতে চাই- ফরিদুর রেজা সাগরের অন্য ক্ষেত্রে অধিক সফলতার কারণে তার সাহিত্যিক মূল্যায়ন কমই হয়েছে। পাঠক লেখক ও সমালোচকদের ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি যে ‘শিশুসাহিত্যের রাজপুত্র’- এই অতিধারায় কে তাকে চিহ্নিত করবে।