অনলাইন
এবার মালিবাগে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে আরেক শিশুর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
(৯ মাস আগে) ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই এবার মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০)।
আহনাফ তাহমিন আয়হামের স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আহনাফের আর জ্ঞান ফেরেনি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নতে খৎনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মালিবাগে সুন্নতে খৎনায় মৃত্যু/ মামলার পরে আটক ডা. মুক্তাদির ও ডা. মাহবুব
মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খৎনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত আটটার দিকে খৎনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আহনাফের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডাক্তার মুক্তাদির। আমি বারবার তাদের পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে ঘটনার পরই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মুক্তাদির। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ, গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।
যদি এক ঘন্টা পরে শিশুটি মারা যায় তাহলে তাকে ৭ দিন আইপিওতে রাখা হয় কেন?অবৈধ টাকার জন্য?
জেলা ভিত্তিক অনেক প্রাইভেট হাসপাতালে অনেকে ঢাকার অনেক হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ৫-১০ টা ডিগ্রি নামের সাথে যোগ করে চেম্বার করেন। আদো তাঁরা ঢাকার বড় হাসপাতালের ডাক্তার কিনা, আদো তাঁদের এতগুলো ডিগ্রি আছে কিনা তা হাসপাতাল কতৃপক্ষকে যাচাই বাছাই করে তাঁকে চেম্বার করার অনুমতি দেয়া উচিত এবং কোন সেবা গ্রহীতা নিশ্চিত হতে চাইলে প্রমান দেখানো উচিত। অন্যথায় এইসব প্রতারনার দায়ভার প্রতারক ডাক্তারের পাশাপাশি হাসপাতাল কতৃপক্ষের উপর বর্তায় এবং উভয়ই সমান অপরাধী। এইসব নিয়ে সাংবাদিক ভাইয়েরা ও ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ছোট বেলায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উস্তা নামক লোকেরা খৎনা করাতো কোন এনেস্থেসিয়া দেওয়া লাগত না। সাধারণ খৎনার জন্য ফুল এনেস্থেসিয়া দিতে হয়? কেন? অতীত যুগে গ্রামে গঞ্জে যে খৎনা করাতো, কোন ছেলে মারা যাওয়ার খবর তো পাওয়া যায় নাই। হয়ত দেখবেন যে মেয়াদোত্তীর্ণ এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে তো কোন নিয়ম নীতি নেই। কোন আইন শৃঙ্খলা নেই। অপরাধ অবাধে চলে। জনগণকে জিম্মি করে সবাই লুট করে চলছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টায় আহনাফকে সুন্নতে খৎনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।কর্তৃপক্ষকে আমার অনুরোধ এরা আদৌ ডাক্তার কিনা তদন্ত করুন সত্য বের করেন তারপর আইনের আওতায় আনুন,এরা হত্যা মামলার আসামি হবে।