শেষের পাতা
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ঐক্য এবং পূজা পরিষদ
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৭ জুন ২০২২, সোমবার
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, মন্দির ভাঙচুর এবং পূজামণ্ডপে হামলা নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা হয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ এবং পূজা পরিষদ। এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় পরিষদের নেতারা ওই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। ঐক্যপরিষদের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নয়াদিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে নিজেই বিষয়টির অবতারণা করেছেন। তিনি সেখানে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও পূজামণ্ডপে হামলা এবং ভাঙচুর নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা হয়।
তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, মি. নির্মল রোজারিও ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এরমধ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেশুনে প্রকৃত সত্যের অপলাপ করেছেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন পূর্বাপর সময়ে দেশে ২৬টি জেলায় সংঘটিত পূজামণ্ডপে হামলার কথা অস্বীকার করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সারা দেশে ‘ধিক্কার মিছিল’ হয়েছিল। এরপরও তার এ মিথ্যাচারে দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিদারুণভাবে ক্ষুব্ধ। একইসঙ্গে পররাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে’ এটিও সত্যের অপলাপ। নেতারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও পূজার সার্বিক আয়োজন উদ্যোক্তারা নিজস্ব অর্থায়নে করে থাকেন।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ২০শে জুন এক বৈঠকে মন্ত্রী মোমেন বলেন, সেই প্রপাগান্ডা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়। বৈঠকে মন্ত্রী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্ম ও বিশ্বাসের চর্চায় প্রতিবন্ধকতা নেই সেটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। সেই বৈঠকে মন্ত্রী মোমেন রাজধানীসহ সারা দেশে ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি হয় জানিয়ে বলেন, এরমধ্যে একটি বা দু’টিতে সমস্যা হতেই পারে। এ ছাড়া ছোট একটি দেশের মধ্যে এত লোক বাস করে এবং সে কারণে অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এটাও স্বার্থান্বেষী মহলের কাজ, এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে কাউকে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করা হয় না বলেও বৈঠকে জানান মন্ত্রী। বলেন, এ বিষয়েও অনেকে মিথ্যা প্রচারণা করে এবং বিষয়টি নিয়ে যেন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে।
পাঠকের মতামত
They are real indian.
পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য পরিপূর্ণ সঠিক । বাংলাদেশের মুসলিমরা শান্তিপ্রিয় । উগ্রবাদী ও মিথ্যুক হিবৌখ্রি ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করা হোক ।
মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়কে অনেক ধন্যবাদ। তিনি সত্য কথা বলেছেন। আমাদের দেশে হিন্দুদেরকে ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয়া হয়না। বর্তমান সরকার হিন্দু বান্ধব সরকার। হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য মুসলিমদের গুলি করতে দ্বিধাবোধ করেননা। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার পুলিশের গুলিতে অনেক মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ ভারত সরকারের ইন্ধনে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করা হয়। এত কিছু করার পরও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এটা জাতির জন্য লজ্জানক।
Hindu গুলো লুটপাট করে খাইতাছে। বড় বড় চেয়ার গুলো হিন্দু বলে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে উঠে দখল দিছে তাও পরান ভরছে। পিকে হায়দারের বংশ বলে কথা।। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।। তিনি দীর্ঘ জীবি হোক।।
মন্ত্রী মহোদয় যথার্থ বলেছেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করা হউক। এই সংগঠন ধর্মান্ধ। এরা দেশে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি দিচ্ছে।
vai apni akta sondor ktoha bolsen
ধর্মীয় কাজে কোন প্রকার অনুদান পাওয়ার কোন অধিকার রাখে না কোন ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। সকল প্রকার ধর্মীয় অনুষ্ঠান ব্যাক্তিগত আয়োজনে শেষ করতে হবে। এটাই সকল ধর্মের নিয়ম।
Gorom vate bilai bejar ! Is not it our H.oik.parish. ? Salute to our Honourable Forign Minister for his truth speaking.
সুখে থাকলে যা হয় আরকি ভারতীয় মুসলিমদের ওপর যুদ্ধ অবস্থা মতো করে যে জুলুম করতাছে এই দেশের মানুষ সব দেখে তারপরও আমাদের দেশের জারা আছে কতো জে অভিযোগ তুলে ধরে সুখে থাকলে জা হয় আরকি
স্যালুট মন্ত্রি মহোদয়
আমার প্রশ্নটা অন্য জায়গায়ঃ ভারতের কাউকে কেন এই বিষয়ে জবাবদিহি বা ব্যাখাা করতে হবে?? তাদের নিজেদের দেশে যারা সংখ্যালঘু তাদের কি অবস্হা তা তো পুরা দুনিয়াই দেখছে! তাদের কে কেন আমরা ব্যাখা করতে যাব???
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক। প্রতি বছরই দুর্গাপুজায় সরকার বিশাল অংকের টাকার অনুদান দেন। এটা বাস্তবতা। হিন্দু খৃস্টান বৌদ্ধ ঐক্যপরিষদ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট সংঘটন। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশে হিন্দু যেভাবে স্বাধীনভাবে বাস করছে, পৃথিবীর কোন দেশেই সে নজির নেই। ভারতে মুসলিমরদের দেখেন তারা কত নির্যাতন, অত্যাচারের শিকার। মোট ভারতে মুসলমানদের কোন স্বাধীনতাই নেই। আর বাংলাদেশের সব বড় বড় পদে হিন্দুরা বসে আছে। তাদের মুসলমানরা অসহায়।
হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান, ঐক্য পরিষদকে অনতিবিলম্বে “সাম্প্রদায়িক” ঘোষণা করা হোক? তাদের নেতাদের পর্যবেক্ষণ করা হোক তারা কী পরিমাণ ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থী হিন্দুদের থেকে মিমাংসার নামে চাঁদাবাজী করে।
মন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন। বাংলাদেশের হিন্দুধর্মের লোকেরা অত্যন্ত ভালো আছে এবং প্রভাব প্রতিপত্তিতে আছে।
সীমাহীন সুযোগ সুবিধার পর ও প্রতিবাদ করে । ভারতে মুসলমানদের উপর পাবলিকের সঙ্গে মিলে আইন প্রয়োগ কারিদের অত্যাচার নির্যাতন এদের চোখে পড়ে না ? সেই তুলনায় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশে স্বর্গে আছে । স্থানীয় ভাবে কিছু দুষ্কৃতীদের আক্রমণ হলে সরকার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছ। আর ভারতে সরকারি বাহিনী দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মিলে অত্যাচার করে ।
If hindu bauddo oaikko porishod is right ! But it's surprise me ,when in india mosques, houses destroy by the police & the bjp monks also the muslim has been killed attack abusing force to hindu religious slogan also forcing to remove muslim women's scurf but indian constitution has equal right for all the religion, sect. But our so call hindu bauddo porishod never say any thing about it but they always complain to india against our majority muslim what a shame ! What they think about our country ?Bangladesh is not a indian state it is an independent country by the UN mandate ,so please don't make fakes allegations we are very kind to our minority group & they are enjoying every things more than majority even we never feel they are different from us.....
বাংলাদেশে বর্তমানে হিন্দুদের যে ক্ষমতায় তা নজির বিহীন। সব বড়ো বড়ো পোস্টে হিন্দুদের অবস্থান। তাদের দাপটে টিকা মুশকিল।
শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে শিক্ষকতার জন্য ১৮ দিন জেলে রাখা, অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে পুলিশের উপস্থিতিতেই জুতার মালা পরানো, জঙ্গিপনার জন্য কারাবন্দি এক জঙ্গির বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানানোয় ঝুমন দাসকে ৬ মাস জেলে রাখা, এগুলো বাংলাদেশের সরকারের অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব বিষয়ে কথা না বলা উচিত।
ভাইয়ে ভাইয়ে কাইজা আন্ত ধর্ম সংহতিতে বিরোধের বিষ ছড়ান্তে হিবৌখ্রী ঐক্য পরিষদ যেন ওত পেতে বসে থাকে। নিজ মাতৃভূমিতে হিবৌখ্রী কেন? প্রবাসী নাকি! স্বাধীন নাগরিকের মর্যাদায় বুক ফুলিয়ে বাঁচুন।
Puja Parishod did not protest the Comments of Nupur Sharma , Babri Mosque destruction, Brutal killing of Thousands of Muslims in Gujrat , How dare they protest FM's comments now . These Modi Supporters should be sent back to their real motherland
আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত ।